শনিবার (১৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন তিনি।
মেয়র কাদের মির্জা বলেন, ওইদিন আমাকে হত্যা করার জন্য বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে দু’শর বেশি গুলি করেছে। আমার ১০-১২জন নেতাকর্মী এখনও ঢাকায় চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিনে আমার ৭-৮জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার নেতাকর্মীদের বাড়িতে ডিবি পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। তাদের পরিবারের লোকজনকে নির্যাতন করছে। এখানে সবকিছু এক তরফা হচ্ছে। প্রশাসনও আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে। শুক্রবারও এমপি একরামের বাড়িতে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে দাবি করেন মেয়র।
কাদের মির্জা আরও বলেন, আমি নিজে নিরাপত্তাহীনতায় না ভুগলেও আমার নেতাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে প্রশাসন ও সরকার কী ব্যবস্থা নেবে তা তারা জানে। আমার শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকা অবস্থায় আমি এখান থেকে নড়ব না।
তিনি বলেন, সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও অটোচালক আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনার যে তদন্ত তা তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দীকে দিয়ে এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই ও ডিজিএফআইকে দিয়ে করাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে পৌর ভবন থেকে বের হয়ে বসুরহাট বাজারের দিকে যান মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।