কুড়িগ্রামের রৌমারী যথাযোগ্য মর্যদায় পালিত হলো ঐতিহাসিক সাতই মার্চ

মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: আজ সাতই মার্চে বাঙালি জাতির জীবনের একটি ঐতিহাসিক দিন। ঐতিহাসিক দিন হিসাবে রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রাঙ্গনে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো সাতই মার্চ। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল সমাবেশে ভাষণ দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পথ রচনা করেছিলেন।

 

বক্তারা ৭ মার্চের আলোচনা সভায় বলেন পরবর্তী প্রজন্ম যাতে করে জানতে পারে, সে লক্ষ্যেই সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ এসেছিল এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক আন্দোলনের পটভূমি। পাকিস্থানিদের চব্বিশ বছরের ইতিহাস ছিলো শোষণ-বঞ্চনার অপৃতিকর কর্মকান্ড।

 

দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কৃত্রিম রাষ্ট্রটি শুরু থেকেই ছিল বাঙালিবৈরি। বাঙালি তার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতেন। এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে ওঠেন বাঙ্গালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের পরই এটা স্পষ্ট হয় যে, পাকিস্থানি শাসকগোষ্ঠীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না।

 

তারা নানা কৌশলে কালক্ষেপণ করে বাঙালির বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। বঙ্গবন্ধু এসব খবর কিন্তু সবই জানতেন। তাই ৭ মার্চের ভাষণে তিনি বাঙালি জাতিকে সচেতন করেই, চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্ততি নিতে নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। যারফলে আজ স্বাধীন বাংলাদেশ পেলাম আমরা। এমনটাই বক্তারা বক্তব্যে উল্লেখ্য করে বলেন আজ বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই স্বাধীন পেয়েছি আমরা।

সাতই মার্চের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্তিতি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ,বিষেশ অতিথিরা হলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফর হোসেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান, (বীর) মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার সাহার আলীসহ আরো অনেকেই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা (বীর) মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ কাদের চেয়ারম্যান।

 

Comments (০)
Add Comment