চাটমোহর পুরাতন বাজার এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পাশে দেখা গেছে, পুরাতন বাজারের মুরগি বিক্রির পর ড্রেসিংয়ের বর্জ্য পলিথিনে মুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে বড়ালে। হোটেলের বর্জ্য এনে ফেলা হয় নদের মধ্যে। পদ্মা-যমুনার সংযোগ স্থাপনকারী বড়াল নদ এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে উঠছে। একই সঙ্গে বড়াল পাড় দখল করে তোলা হচ্ছে দোকানপাট।
নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু পাকা স্থাপনা। সম্প্রতি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান আ. হামিদ মাস্টার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম বড়াল দখল ও দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
বড়াল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম মিজানুর রহমান বলেছেন, বড়াল রক্ষার জন্য আমরা ২০০৮ সাল থেকে আন্দোলন করছি। বেশ কিছু অর্জন হয়েছে। হাইকোর্ট বড়াল নদের সীমানা নির্ধারণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। দীর্ঘ তিন যুগ পর বড়ালে পানি ঢুকছে। কিন্তু পদ্মা ও যমুনার সংযোগ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, বড়াল যারা দখল করছে বা করেছে তারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত অথবা প্রভাবশালী। দূষণের মাত্রা বেড়েছে যে কোনো সময়ের চেয়ে। আমরা দখল ও দূষণরোধে কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছি।