চার ফিফটিতে বড় সংগ্রহ বাংলাদেশের

শুরুতে ম্যাচকে কক্ষপথে রাখলেন তামিম ইকবাল। এরপর মাঝে টানলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। শেষটায় ঝড় তুললেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ চার ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে লড়াইয়ের পুঁজি গড়েছে বাংলাদেশ।

সবার শেষে ফিফটি পাওয়া মাহমুদউল্লাহর লেগেছে সবচেয়ে কম, ৪০ বল। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে কিওন হার্ডিংকে ছক্কায় উড়িয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

সিরিজে প্রথমবার ব্যাটিংয়ে নামা সৌম্যর ব্যাট থেকে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। ৮ বলে ৭ রান করে ফিরেন রান আউট হয়ে।

৪৩ বলে তিনটি করে ছক্কা ও চারে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ ৬ উইকেটে তুলেছে ২৯৭ রান। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে কঠিন লক্ষ্য পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর এই মাঠে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।

আগের দুই ম্যাচের মতোই হতাশ করেন দুই তরুণ লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন। দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ৩৭ রান যোগ করে কাইল মায়ারসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ধরা পড়েন ৩০ বলে ২০ রান করা শান্ত।

দুই তরুণ ব্যর্থ হলেও, পরে চার অভিজ্ঞই তুলে নিয়েছেন নিজেদের ব্যক্তিগত ফিফটি। ইনিংসের শুরুতে বেশ সাবলীল ছিলেন তামিম। একপর্যায়ে তিনি মাত্র ২৭ বলে করেন ২৮ রান। এরপর যেন বন্দি হয়ে যান খোলসে। পঞ্চাশে যেতে খেলেন ৭০টি বল। যেখানে ছিল মাত্র দুটি চারের মার। ফিফটি পূরণের ঠিক পরের বলেই নিজের ট্রেডমার্ক ইনসাইড আউট শটে হাঁকান ইনিংসের প্রথম ছক্কা। যদিও ইনিংসটি বেশি বড় করতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক।

তৃতীয় উইকেটে তামিম ও সাকিব মিলে যোগ করেন ৯৩ রান। কিন্তু এতে খেলেন ১১৬টি বল। দুজনের কেউই ইনিংসের মাঝপথে সাবলীল ব্যাটিং করতে পারেননি। সিঙ্গেলস-ডাবলস বের করতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছে দুজনকেই। জুটি বেঁধে ২ হাজার রানের মাইলফলক পূরণ করেন সাকিব ও তামিম। তাদের জুটি ভাঙে দলীয় ১৩১ রানে গিয়ে, তামিম ব্যক্তিগত ৬৪ রানে সাজঘরে ফেরেন। ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটিতে খেলা ৮০ বলের ইনিংসে ৩ চারের সঙ্গে ১ ছক্কা হাঁকান তিনি।

তামিম ফিরে যাওয়ার পর ৪৮তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। তিনি ৩ চারের মারে ফিফটি পূরণ করতে খেলেন ৭৮ বল। তামিমের সমান ৮০ বল খেলে সাকিব আউট হন ৫১ রান করে। সাকিবের বিদায়ের পর রানের গতি বাড়ানোর মিশনে নামেন ব্যক্তিগত সম্পর্কে ‘ভায়রা ভাই’ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহীম, যা বেশ সফলভাবেই করেন এ দুজন। তাদের জুটিতে আসে ৭২ রান, মাত্র ৫৮ বলে।

মূলত মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে ভর করেই আসে ২৯৭ রানের বড় সংগ্রহ। সাকিব-তামিম যেখানে করেন ধীরগতির ফিফটি, সেখানে বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিক। ক্যারিয়ারের ৩৯তম ফিফটি করতে মুশফিক খেলেন ৪৭ বল। মাহমুদউল্লাহর ১৭তম ফিফটি আসে মাত্র ৪০ বলে। দারুণ এক ছয়ের মারে ৫০ পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ। তাদের ব্যাটেই শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান পায় বাংলাদেশ।

পুরো ৫০ ওভার শেষ করে আসতে পারেননি মুশফিক। তিনি সাজঘরে ফেরেন ৪৭তম ওভারে, খেলেন ৫৫ বলে ৬৪ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ৪ চারের সঙ্গে দুটি ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪৪ বলের ইনিংসে সমান ৩টি করে চার-ছয়ের মারে ৬৪ রান করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। এছাড়া সৌম্য সরকার ৮ বলে ৭ ও সাইফউদ্দিন ২ বলে করেন ৫ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রেয়মন রেইফার ও আলঝারি জোসেফ।

Comments (০)
Add Comment