ঢাকার মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমান মঙ্গলবার দুপুরে জামিন আবেদন খারিজ করে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি রাতে এক ছাত্রীর দায়ের করা মামলায় শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ বাপ্পীকে গ্রেফতার করে। এর পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে বাপ্পীর পক্ষে আইনজীবী রবিউল ইসলাম জমিন আবেদন করেন।
সেদিন ঢাকার মহনগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী জামিন শুনানির জন্য ৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার এজহারে অভিযোগ, ওই তরুণীকে প্রথমে বিয়ের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ এবং তার ভিডিও ধারণ করে তার সম্মান ক্ষুণ্ন করার ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী।
তরুণীর অভিযোগ, প্রায় পাঁচ বছর যাবত কিশোরগঞ্জের বাপ্পীর সঙ্গে তার সম্পর্ক। এর মধ্যে বাপ্পী বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। কিন্তু সম্প্রতি বিয়ের প্রস্তাব দিলে টালবাহানা শুরু করেন বাপ্পী।
গত ২ জানুয়ারি সকালে আগারগাঁও এলাকার একটি বাসায় তরুণীকে ডেকে নেন এসআই বাপ্পী। সেখানে গোপন ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাস্থল থেকে ওই তরুণী ৯৯৯ নম্বর অভিযোগ করলে পুলিশ বাপ্পীকে গ্রেফতার করে।