এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃপারুল বেগম , ইউ,পি চেয়ারম্যান আবু সাদত মোঃ সায়েম সবুজ, ওসি অশোক কুমার চৌহান,আ‘লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃজিয়াউর রহমান মানিকসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় এমপি শিবলী সাদিক বলেন, অনেক বড় বড় দেশ এখনো ভ্যাকসিন পায়নি। আমরা ভাগ্যবান যে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভ্যাকসিন পাচ্ছি। আমি আজ নিজেই এই ভ্যাকসিন নিয়েছি। যার কারণ হলো সাধারণ জনগণ বুঝে উঠুক যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যা গুজব উঠছে তা সত্য নয়। অনেকেই টিকা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়েছেন। এতে অনেকে ভয়েও আছেন।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রাপ্ত তথ্যে বিষয়টি জানা গেছে। তথ্যানুযায়ী, দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলা আপাতত করোনামুক্ত হওয়ার তালিকায় এসেছে গতকাল বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই ৭টি উপজেলায় কোনও নতুন সংক্রমন নেই এবং পুরাতন রোগী নেই। তিনি জানান, জেলার অন্য যে ৬টি উপজেলা রয়েছে সেগুলোতেও মোট রোগীর সংখ্যাও মাত্র ১৬ জন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনা আক্রান্ত কোনও রোগী নাই। মঙ্গলবার রাতে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাবে ১৫৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের পজিটিভ প্রতিবেদন এসেছে। জেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়েছেন সিংহভাগ অর্থাৎ ৪ হাজার ৫৮২ জন। আর তাদের মধ্যে মারা গেছেন ১০০ জন। বর্তমানে পরীক্ষায় পাওয়া রোগীর সংখ্যা মাত্র ১৬ জন। যার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬জন, বাকিরা হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
এদিকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলে মোট ১৪টি কেন্দ্রে করোনার টিকা প্রদান করা হচ্ছে।
টিকাদানের জন্য দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪টি, দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে ৮টি ও ১২টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি করে ২৪টি টিম কাজ করছে। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত এই জেলায় ৩ হাজার ৬৩০ জন করোনার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।