দ্বিতীয় সপ্তাহের লকডাউন শতভাগ কার্যকর করতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি, থানাপুলিশ সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পূর্ব থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বিশেষ করে এলাকায় মাইকিং সহ নানাভাবে সচেতনতামূলক প্রচার করা হয় এবং বলা হয়, কোন জরুরী প্রয়োজন ছাড়াই ঘরের বাইরে বের হলে এবং সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় প্রশাসেনর এ ধরণের জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণার কারণে তেমন কোন অভিযান ছাড়াই প্রথম দিনের লকডাউন অনেকটাই শতভাগ কার্যকর হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে । বিশেষ করে, বুধবার সকাল থেকে দুরপাল্লার কোন গণপরিবহন চলাচল করেনি। ছোট ছোট যানবাহনও ছিল অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। পৌর সদরের দুই একটি ঔষধের দোকান ছাড়া তেমন কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, প্রথম দিনের লকডাউন এবং পহেলা বৈশাখ একই দিনে হওয়ায় লকডাউন কার্যকর নিয়ে কিছুটা শংকা থাকলেও স্থানীয় জনসাধারণ, ব্যবসায়ী সহ সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকায় প্রথম দিনের লকডাউন শতভাগ কার্যকর হয়েছে বলে মনে করছি। আশা করছি, পরবর্তী দিনগুলোর লকডাউন শতভাগ কার্যকর হবে।