ইতোমধ্যে দুটি খালের ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে আরও দুটি খালের খনন কাজ শুরু করা হবে বলে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস জানিয়েছেন।
৪টি খালের মধ্যে দুটি লতা ইউনিয়নে এবং দুটি দেলুটী ইউনিয়নে। লতার দুটির মধ্যে একটি হচ্ছে উলুবুনিয়া মরা নদী। যার আয়তন ১.৫৯৭ হেক্টর। শামুকপোতা আবাসন হতে পুটিমারী মন্দির পর্যন্ত খালটি খননের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।দ্বিতীয়টি হচ্ছে গয়েশার খাল। যার আয়তন ১.৬২৫ হেক্টর। শিব বাবুর বাড়ি হতে শামছুর আলীর বাড়ি পর্যন্ত খালটি খননে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা। দেলুটীর দুটি খালের মধ্যে একটি হচ্ছে গেওয়াবুনিয়া (বরোপিট), যার আয়তন ১.৬১ হেক্টর। ব্রজেন মন্ডলের বাড়ী হতে ক্ষীতিশ মন্ডলের বাড়ী পর্যন্ত খালটি খননের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
অপরটি হচ্ছে পারমধুখালী খাল, যার আয়তন ১.৬০ হেক্টর। গৌরাঙ্গ ঢালীর বাড়ী হতে রাধানগরের সীমানা পর্যন্ত খালটি খননে বরাদ্দ হচ্ছে ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস জানান, এধরণের প্রকল্প এলাকায় এটিই প্রথম। ৪টি খালের মধ্যে লতার উলুবুনিয়া ও দেলুটীর গেওয়াবুনিয়া খালের ৬০ ভাগ খনন কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে লতার গয়েশার খাল ও দেলুটীর পারমধুখালী খালের খনন কাজ শুরু করা হবে।
স্কেভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে, ফলে এপ্রিল মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ খনন কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী বলেন খনন কাজ সার্বিক তদারকি করা হচ্ছে। খনন কাজ শেষ হলে সুপেয় পানি সংরক্ষণ, কৃষি ফসলের সেচ কাজে ব্যবহার, জীব-বৈচিত্র ও পরিবেশ সংরক্ষণ, প্রদর্শনী খামার কাজে ব্যবহার, মৎসজীবিদের জিবিকা নির্বাহ ও দেশীয় প্রজাতি মাছের উৎপাদন ও সংরক্ষণ সহ নানা ভাবে ৪টি খাঁল উপকারে আসবে।