এ সময় রফিকুল ইসলাম নানজু গংয়ের দেশিয় ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে জমির মালিক রফিকুলের স্ত্রী আনোয়ারা (৬০) ও তার ছেলে মিলন মিয়া (২৬) আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে নিয়ে আসলে আনোয়ারাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং মিলনকে ভর্তি করান। ভর্তি রেজি: নং ১৫৩৪/৭। এ ব্যাপারে রৌমারী থানায় উভয় পক্ষে মামলা দায়ের করেছে। জমির মালিক পক্ষের মামলা নং ১৫,তারিখ ১৯/৬/২০ ইং।
এদিকে পুকুর জবর দখলকারি চেষ্টায় রফিকুল ইসলাম নানজুর মামলার প্রেক্ষিতে রৌমারী থানার এসআই লিটন আদালতে যে চারসিট দাখিল করেছেন তা যথেষ্ট গড়মিল রয়েছে । আহত মিলন মিয়া রৌমারী হাসপাতালে ১৩ জুন হতে ১৮ জুন ২০ ইং পর্যন্ত ভর্তি থাকলেও চারসিটে ভর্তি দেখানো হয়নি। এ বিষয় হাসপাতালের (আরএমও) ডা.নাজমুল হুদা রোগী ভর্তি না থাকার প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন। তবে মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ হোসেন আহত রোগীকে ভর্তি করান এবং রোগীর অভিভাবককে ছাড়পত্র দিয়েছেন। এনিয়ে দেখা দিয়েছে জনমনে প্রশ্ন।
এছাড়াও ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষীদেরও বক্তব্য নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়া অসিজল হক বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে। যার মামলা নং ১০০/২০। আহত মিলনের মা মামলার বাদীনি আনোয়ারা খাতুন আদালতে রফিকুল ইসলাম নানজুর মামলার রায় ঘোষনাকে না রাজি দিয়েছেন।
এব্যাপারে রফিকুল ইসলাম নানজুর সাথে ০১৯১৩২৫৭৩৪৭ নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। মামলার বাদী জানান, ওই পুকুরটি আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি। সবার অংশ রয়েছে, তাই আমার দেবর এনামুল পুকুরটি লিজ দিতে পারে না। তারা পুকুরে মাছ ছাড়ার জন্য আসলে আমার ছেলে মিলন বাধা দিলে তাকে মারপিট করে।
পুকুর মালিক এনামুল হক বলেন, রফিকুল ইসলাম নানজুর সাথে পুকুর লিজ নেওয়ার বিষয় মৌখিক কথা হয়েছে। এনিয়ে তার সাথে লিখিত কোন চুক্তি বা অর্থ লেনদেন হয়নি এবং মামলার আইও আমার সাথে কোন কথা বলেনি। মামলার (আইও) মো.লিটন মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, আমি বাহিরে আছি। এবিষয় পরে কথা বলবো।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, কাগজপত্র না দেখে তো কিছু বলা যাবে না। তবে ওই বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিব।