জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর বারপাখিয়া মাঠে ফসলী জমির শ্রেণি পরিবর্তন ছাড়াই এস.কে ভেটর দিয়ে বিএনপির কর্মী কর্তৃক পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, সৈয়দপুর গ্রামের আব্দুল ওয়াহব এর পুত্র বিএনপির কর্মী কর্তৃক লালন বারপাখিয়া গ্রামের দুলালের নিকট থেকে ফসলী জমি ৮ বছরের জন্য লিজ নিয়ে অবৈধ্য ভাবে এস.কে ভেটর দিয়ে পুকুর খননের করছে।
এলাকাবাসী জানায়, আমাদের এখানে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সেচ পাম্পের পাইপ লাইন এর অতি নিকটে ফসলী জমি নষ্ট করে পুকুর খনন করা হচ্ছে। খননকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার মানুষ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। প্রায় ১ মাস যাবত পুকুর খনন করায় গ্রামের কাঁচা রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বারপাখিয়া কালিমাতার দেবত্তর সম্পত্তির পার্শ্ব দিয়ে কাঁচা রাস্তা গিয়েছে। খননকৃত মাটি কাঁচা রাস্তা দিয়ে ট্রাকটরে নিয়ে যাওয়ার সময় কালিমাতার দেবত্তার সম্পত্তির কয়েকটি গাছ ভেঙ্গে পুকুরে মধ্যে পড়ে গেছে। এছাড়া দিনে প্রায় ২ শতাধিক ট্রাকটর যাতয়াত করে। যার শব্দ দূষণে গ্রামে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
লিজ নিয়ে পুকুর খননকারী লালন জানান, আমি বারপাখিয়া গ্রামের দুলালের নিকট থেকে জমি ৮ বছরের জন্য লিজ নিয়েছি। এদিকে ৪ বছর পার হয়েছে। আরো ৪ বছর আছে। পুকুর খননের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। সবকিছু জমির মালিক জানেন। আমি হাই কোর্টের একটি রিট পিটিশন (যার নং- ৪৪৬১/২০১৬) করেছি।
জমিটিতো আপনার নিজের না তাহলে আপনি কিভাবে অনুমতি পেলেন? তিনি এ ব্যাপারে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
জমির মালিক দুলালের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে রাজি হননি।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী সেলিম রেজা জানান, কিছু অসাধু ব্যক্তি বরেন্দ্র এলাকাতে ফসলী জমি সেখানে আমাদের সেচ পাম্পের পাইপ লাইন রয়েছে। সেখানে পুকুর খনন করছে বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে যদি করে তাহলে যেমন ফসলী জমি নষ্ট হবে সেই সাথে পুকুরের পার্শ্বের জমি গুলোর ব্যপক ক্ষতি সাধন হবে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি শফিকুল আলম জানান, পুকুর খননের বিষয়ে আমার কিছু জানা নাই।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান জানান, এক শ্রেণীর অসাধু ব্যাক্তিরা এই কাজ গুলি করছে। বিষয়টি আমার জানা নাই।