গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার আমদা গ্রামের পার্শ্বে সুতরইল মোড়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হনুমানটির কালার হালকা সাদা। লেজটি অনেক বড়, যা প্রায় আড়াই হাত লম্বা। স্বভাব বেশ শান্ত। মানুষদের সাথে মিশে যাচ্ছে। মানুষের দেওয়া খাবার খাচ্ছে। চলন্ত মটরসাইকেল ওলাকে থামিয়ে মটরসাইকেলে উঠে বসছে, কখনও বা ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন গাছের ডালে ডালে, মানুষের বাড়ির ছাদ বা টিন বেয়েও বেড়াচ্ছে।
হনুমানটিকে দেখে বেশ ক্ষুধার্থ মনে হয়। কেই খাবার দিলে সাথে সাথে খেয়ে নিচ্ছে। উৎসুক জনতা তাকে আপেল, বেল, আমড়া, পিয়ারা, কমলা দিলে সাথে সাথেই খেয়ে নিচ্ছে। কিন্তু মজার বিষয় হলো কারো এঁঠো বা ঝুঠা খাবার খাচ্ছেনা। হনুমানটি যেখানেই যাচ্ছে উৎসুক জনতা সেখানেই ভীড় জমাচ্ছে তাকে একনজর দেখার জন্য। তবে হনুমানটি কারো কোন ধরনের ক্ষতি করছে না।
পোরশা সদরের লওপাড়া গ্রামের আদিবাসী অর্জুনের পুত্র মাদব হরিজন বিভিন্ন বরাত দিয়ে জানান, হনুমানটি প্রায় ১সপ্তাহ পূর্বে স্থলবন্দর হিলি থেকে একটি কলাবাহী ট্রাকে করে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর আসে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়া বাজার হয়ে শিবপুর বাজারে আসে। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর পোরশার বেজোড়া বাজার থেকে নোনাহার গ্রাম হয়ে পোরশা সদর হয়ে আমদা গ্রামের পার্শ্বে সুত্রইল মোড়ে আসে। তিনি জানান, হনুমানটি কারো কোন ক্ষতি করছে না। ভারত থেকে এদেশে কোন ভাবে হনুমানটি চলে এসেছে বলে স্থানীয় অনেকই মনে করছেন।
এ সংবাদ গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় লেখার সময় পর্যন্ত হনুমানটি আমদা গ্রামের পার্শ্বে সুত্রইল মোড়ে অবস্থান করছিল বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে পোরশা সরকারী ডিগ্রী কলেজের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক কৃঞ্চ চন্দ্র পাল বলেন, হনুমান আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। প্রাণীটি বনের, তাই সে লোকালয়ে থাকতে পারবে না। আর যেহেতু এখানে কোন বন নেই বা তাকে তার মোত করে রাখার কোন জায়গা নেই সেহেতু তাকে চিড়িয়াখানা রাখাই ভাল হবে। তা নাহলে ক্ষুধার জ্বালায় সে মারা যেতে পারে। তবে সাধারন মানুষকে প্রানীটিকে আঘাত না করতে অনুরোধ জানান।
পোরশা উপজেলা বনবিট কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, হনুমানটি যে ভাবে ঘুরছে ঘুরুক, তাকে আটক করা যাবে না। আটক করতে বা ধরতে গেলে হার্ট এ্যাটাক করে মারা যাবে।
রাজশাহী বিভাগীয় বোন কর্মকর্তা আবুল কালাম মোবাইল ফোনে বলেন, তাকে আমাদের ধরার প্রয়োজন নেই। সে তার মতো করেই থাকুক। তবে তিনি হনুমানটিকে আঘাত করতে নিষেধ করেছেন উৎসুক জনতাদের।