প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ২৫ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকায় ‘পুঠিয়ায় মেয়রের নির্দেশে কলেজছাত্রী লাঞ্চিত’ থানায় পালটা অভিযোগ, শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

গত ২৫ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক সমকাল’ পত্রিকায় পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করা ছাত্রী পৌরভবনে ‘লাঞ্ছিত’ পুঠিয়া থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

গত ২৫ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক আজকের পত্রিকায়’ ‘এবার পুঠিয়ার পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সেই ছাত্রীর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

গত ২৫ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘সিল্কসিটি নিউজ- এ ‘পুঠিয়া পৌরসভায় নাগরিকত্ব নিতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার এক নারী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সেই সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌরসভার কর্মচারী দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক কলেজছাত্রী (২৪)। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পৌরসভায় নাগরিক সনদ নিতে গেলে মেয়র আল মামুন খাঁনের নির্দেশে তাঁকে অস্থায়ী পৌরসভা ভবনের একটি কক্ষে আটক রেখে টানা-হিঁচড়া ও হুমকি দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতেই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে মেয়র, সহকারী প্রকৌশলী ও সংরক্ষণ পরিদর্শককে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘গতকাল সকালে নাগরিক সনদ আনতে পৌরসভায় যাই। পৌরসভার নিচ তলায় গেলে সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম তাঁকে বলেন নাগরিক সনদ দেওয়া হয় তিন তলায়। প্রকৌশলীর সঙ্গে তিন তলায় গেলে মেয়রকে কল দেন। মেয়রের নির্দেশনা পেয়ে প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও সংরক্ষণ পরিদর্শক আরিফুল হক রিপন আমাকে একটি কক্ষে আটকিয়ে টানা-হিঁচড়া করেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে মেয়রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে। সংবাদটি আদৌ সত্য নয়। উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে করানো হয়েছে।

সেই মেয়েটি গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় তার পোষাকের উপরে প্রেস লেখা গেঞ্জি পড়ে, হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে পৌরসভায় উপস্থিত হয়ে জনাব মোঃ আরিফুল হক কঞ্জারভেন্সি ইন্সপেক্টর পুঠিয়া পৌরসভাকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোবাইল ক্যামেরা বের করে অফিস সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। প্রতি উত্তরে কর্মচারী বলেন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব নয় মর্মে বলেন। এবং কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অফিসের বিভিন্ন কক্ষের ছবি উঠান। এবং বিভিন্ন মামলার ভয়ভিতি প্রদান করেন, যাতে করে সকল কর্মচারীরা আতঙ্কিত হয়। ফলে পৌরসভার নিয়মিত কার্যক্রম ব্যহত হয়।

এ ব্যাপরটি বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে পুঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অথচ সেই মেয়ে ঐদিন রাতে গিয়ে থানায় পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ জমা দেয়। ঘটনাটি পৌরসভার সিসি ক্যমেরায় ধারণকৃত রয়েছে। বিষয়টি সুষ্ট তদন্তকরা হলে সত্য ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

ঘটনার সময় আমি ও আমার অফিসের সহকারী প্রকৌশলী অফিসের কাজে বাহিরে ছিলাম। অথচ উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবে আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে। তার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।

প্রতিবাদকারী
মোঃ আল মামুন
পুঠিয়া পৌরসভা
পুঠিয়া, রাজশাহী।

Comments (০)
Add Comment