বন্যা পূণর্বাসন প্রকল্প হাতে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি :  রাজশাজীর বাঘায় বন্যা ও নদী ভাঙ্গন পূণর্বাসন প্রকল্প হাতে নেয়ার প্রত্যায় ব্যক্ত করেছেন মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ আলহাজ শাহরিয়ার আলম। শুক্রবার সকালে বাঘার পদ্মার চরাঞ্চলে নদী ভাঙ্গন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের মাঝে নগদ টাকাসহ ত্রাণ বিতরণ কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রান বিতরণ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্দেশ্যে শাহরিয়ার বলেন, বর্তমান সরকারের রাজনীতি গরিব দু:খীদের সুখে রাখার রাজনীতি। এবারের  বন্যায় সবচেয়ে ক্ষত্রিগ্রস্থ হয়েছেন যারা বন্যা পরবর্তী সময় তাদের পূণর্বাসনসহ কৃষকদের সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, এ বছর যে সমস্ত এলাকায় বন্য হয়েছে প্রত্যেকটি এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন বর্তমান সকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামী ১৫ আগষ্ট জাতীর পিতার শোক দিবসে সবাইকে দোয়া করার আহবান জানান এবং ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া দুই বোনের জন্যও দোয়া চান।
ত্রাণ বিতরণে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি, বিজিবি রাজশাহী রেঞ্জেরে সিএ সিরাজুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া রেঞ্জের সিএ মোহাম্মদ শহীদ, বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ আলী মাহমুদ, স্থানীয় চকরাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিযুল আযম, আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম মন্টুসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
বাঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর, আতারপাড়া, চৌমাদিয়া, মানিকের চর  ও কালিদাস খালিসহ ১০টি চরের এক হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে নগদ ৫০০ টাকা ও ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

বাঘায় শোক র‌্যালী অনুষ্ঠিত
আশরাফুল আলম, বাঘা, রাজশাহী : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি চারনে বাঘায় শরণ কালের বৃহত্তর শোক র‌্যালী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দলীয় ব্যানারে এ সব কর্মসূচি পালন করা হয়।
সকাল ১০ টায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বাঘার বিভিন্ন সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দলীয় নের্তৃবৃন্দরা জাতীয় পতাকা অর্ধমিত রাখা এবং কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাচ ধারণ করে শরণ কালের বৃহত্তর র‌্যালী বের করে। র‌্যালীটি উপজেলার প্রধান-প্রধান সড়ক পদক্ষিন শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ লায়েব উদ্দীন  লাভলু , বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান শফি,উপজেলা আ’লীগের সহ সভাপতি আজিজুল আলম, সাধারণ সম্পাদক বাবুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড  আব্দুল খালেক,পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার, সাধারণ সম্পাদক মামনুর রশিদ, আ’লীগ নেতা প্রভাষক কবির হোসেন, বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ আলী মাহামুদ প্রমুখ।

বাঘায় শিবমন্দিরে ২৮ তম গঙ্গাজল অর্পন
আশরাফুল আলম, বাঘা, (রাজশাহী) : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়নী থেকে পুঠিয়া শিব মন্দিরে গতকাল সোমবার ২৮ তম গঙ্গাজল অর্পণ করা হয়েছে। গঙ্গাজলের আয়োজন করেন আড়ানী ক্ষাপা বাবার আশ্রম। হাজার হাজার ভক্তরা সকাল ৫টা থেকে গঙ্গা জল অর্পণ শুরু করে। এতে হাজার হাজার নারী-পুরুষ অংশ গ্রহন করে। পূর্ণার্থীরা আশ্রমের পাশে বড়াল নদী থেকে রং বেরঙ্গের ঘটিতে করে জল নিয়ে এসে প্রথমে ক্ষাপা বাবার পূর্ণ সমাধিতে গঙ্গাজল অর্পণ করে। পরে পুঠিয়া শিব মন্দিরের উদ্দেশ্যে ১০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেটে বোম বোম ধ্বনিতে জল অর্পণ করেন।
জানা যায়, আড়ানী ক্ষাপা বাবার আশ্রমে ১৯৮৯ সাল থেকে পাগলা বাবা জিতেন্দ্র নাথ সরকার প্রথম বোম বোমের সূচনা করেন। এই আশ্রম থেকে দীর্ঘ ২৮ বছর যাবত সত্যম শিবম সুন্দরম জয় বাবা ভোলানাথ, জয় বাবা আড়ানী নাথ, জয় বাবা পুঠিয়া নাথ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে উপজেলার আড়ানী থেকে পুঠিয়ার ঐতিহাসিক ও সর্ববৃহৎ শিব মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের নগ্ন পদযাত্রা ও পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পন অনুষ্ঠিত হয়।
আড়ানী ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রমের পরিচালক শ্রীমৎ পাগলা বাবা মহারাজ জিতেন্দ্র নাথ সরকার জানান, অশেষ মহাপূণ অর্জন করতে দেশ বিদেশ থেকে হাজার হাজার হিন্দু ধর্মীয় পুরুষ-নারী ভক্তরা তিনদিন থেকে এই আশ্রমে সমবেত হয়। পরে  উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় শিব মন্দিরে গতকাল সোমবার সকাল থেকে সংসারের ত্রিতাপ জ্বালা হতে মুক্তির নিমিত্তে গঙ্গাজল অর্পন করেন।
আগত ভক্তরা গেরুয়া ধুতি, লাল রঙ্গের গেঞ্জি, মাথায় লাল ফিতা পরিধানরত একটি বাঁকা ভার দু’টি বড় ছিকা সম্বলিত দু’ঘটিতে গঙ্গাজল সাজিয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেটে যথা সময়ে বোম বোম ধ্বনিতে শিব মন্দিরে পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পন করেন। আগত পূন্যার্থীদের মাঝে তিনদিন থেকে আড়ানী আশ্রমের অর্থায়নে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন আশ্রম পরিচালনা কমিটি।
উল্লেখ্য ১২৩০ বঙ্গাব্দ ও ১২৩৭ বঙ্গাব্দ উপমহাদেশের দৃষ্টি নন্দন সস্বলিত ঐতিহাসিক ও সর্ববৃহৎ শিব মন্দিরটি নির্মাণ করেন মহারানী ভুবনমহনদেবী। এই আশ্রমে রাজশাহী, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, জয়পুরহাট, দিনাজপুর, রঙপুর, পাবনা, নীলফামারি, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, টাংগাইল, ঠাকুরগা, মেহেরপুর, খুলনা, ঢাকা, গায়বান্দা, গাজিপুর, বগুড়া, ময়সনসিংহ, নরসিনদিসহ সারা দেশ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষের সগমন ঘটে ।

Comments (০)
Add Comment