উল্লেখ্য, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় কলেজে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষনের মধ্যে সাত-আট জন বহিরাগত কলেজে প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে লুৎফর রহমানকে বেধড়ক পিটিয়ে দ্রুত চলে যায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে স্থানীয়রা বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর পরিবেশ শান্ত করতে ওইদিন সেখানে পুলিশ মোতায়েন ছিল। এদিকে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল হোসেনের নিয়োগ জটিলতা নিয়ে গত বছরের ১৯ জানুয়ারী গভর্নিং বডির সভাপতি তৎকালীন ইউএনও অধ্যক্ষের পদ থেকে তাঁকে অব্যহতি দেয় এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে লুৎফর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তখন থেকেই দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছে। সবশেষে ওই কলেজের তিনটি কক্ষে তালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ২ জানুয়ারী উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় মকবুল হোসেন বলেছেন, অধ্যক্ষ পদ থেকে তাঁকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে এমন কোন চিঠি তিনি পাননি। তবে নিরাপত্তার অভাবে তিনি দীর্ঘদিন থেকে কলেজে প্রবেশ করতে পারেননা। তাছাড়াও লুৎফর রহমানকে হাতুড়ি পেটা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।