আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৬ মার্চ বাগাতিপাড়া জিয়াড়কোল মুক্তিযোদ্ধা বেসরকারী বিদ্যালয় মাঠে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ভূমিহীন সমিতির আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নেকবর আলী দলবল নিয়ে হামলা চালিয়ে মঞ্চ, চেয়ার, টেবিল ভাংচুর, মারপিট ও মেয়েদের শ্লীলতাহানী করে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়।
এ ঘটনায় সমিতির সভাপতি আরশেদ আলী লালচান নাটোরের ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করে (মামলা নং সিআর ৩৫/০৬)। বিচারক মামলার সত্যতা বিষয়ে নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্তের আদেশ দেন। বিচার বিভাগীয় তদন্তে ঘটনা সত্য বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। অত:পর আসামী নেকবরের বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী শুনানী শেষে আসামী নেকবর আলীর ১ বছরের কারাদন্ড দেন আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে নেকবর আলী নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাষ্ট্রেট আদালতে (ফৌজদারী আপীল নং ০২/২০০৮) আপীল করে। এই আপীল ২০০৬ সালের ১৩ মার্চ শুনানী শেষে না মঞ্জুর হয় এবং ১ বছরের সাজা বহাল থকে। এরপর আসামী নেকবর পলাতক হয়। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী নেকবর আলী চলতি বছরের ২৮ সেপ্টম্বর গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে আছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামী তথ্য গোপন করে নির্বাচন অফিসে হলফনামা দাখিল করে।
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ আব্দুর রশীদ জানান, ‘সাজা প্রাপ্ত আসামী জামিনে থাকলে নির্বাচন করতে পারে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হলে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়ার কথা কিন্তু সে আমাদের কাছে তথ্য গোপন করছে। কিন্তু নেকবর আলীর বিষয়ে কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।