তাজামুল কিন্তু খুব একটা স্বচ্ছল পরিবারের মেয়ে নয়৷বাবা গুলাম মহম্মদ পেশায় ড্রাইভার৷অত্যন্ত কষ্ট করেই সংসার চালাচ্ছেন তিনি৷কিন্তু দুই কন্য ও দুই পুত্রের স্বপ্নপূরণে কোনও সমঝোতা করেন না বাবা৷গুলামের সন্তানরা প্রত্যেকেই মার্শাল আর্ট শিখছে৷মাস্টার ফাসিল আলি দার তাঁর অ্যাকাডেমিতেই তামজুলদের প্রশিক্ষণ দেন৷
গত বছর তামজুল সাব-জুনিয়র ক্যাটাগরিতে সোনা পেয়েছিল দিল্লিতে৷তখন থেকেই নজড়ে আসে এই খুদে৷তামজুলের স্যার দার বলছেন,‘‘ তামজুল কিন্তু খেলার নিয়ম-কানুন সম্বন্ধে ততটা ওয়াকিবহল ছিল না৷কিন্তু ওর ক্ষিপ্রতা ও আগ্রাসনই ওকে আলাদা করেছে৷’’ ছোট্ট একটা গ্রাম থেকে উঠে এসে আজ তামজুল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন৷তাঁর গল্প অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা৷শত প্রতিকৃলতাকে অতিক্রম করেই তামজুল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে৷ ফুটফুটে মেয়েটা বলছে,‘‘ আমাদের গ্রাম অনেকটাই পিছিয়ে৷কিন্তু আমি আর আমার মতো বাকি বাচ্চারা মিলে এই গ্রামটাকেই নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাব৷