এসময় উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, ওসি নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস আলী, রিজিয়া সরকার, কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান, মৎস্য কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী রতন কুমার ফৌজদার, মনিগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, বাঘা প্রেস ক্লাব সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহি অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১৬টি পরিবার ঘর পেয়েছে।
এগুলোর মধ্যে আছে ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধী, অন্যের বাড়িতে ও রাস্তার পাশে, স্বামী পরিত্যক্তা, বিধবা, দিনমজুর। আধাপাকা প্রতিটি গৃহ নির্মাণে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। প্রতিটি গৃহ একই ধরনের। যেখানে আছে-দুটি শয়ন কক্ষ, একটি টয়লেট, রান্নাঘর, কমনস্পেস ও একটি বারান্দা। এসব গৃহ প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা করে নির্মাণ করা হয়েছে।
এঘর পাওয়া পাওয়া লাইলী বেগম জানান, আমি পদ্মার মধ্যে স্বামী ছেলে সন্তান নিয়ে সুখে বসবাস করতাম। বছর ৫ আগে আবাদী জমি ও ঘরবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। নিরুপায় হয়ে মনিগ্রাম ইউনিয়নের হেলালপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক কমল উদ্দিন এই অবস্থা দেখে তার জমির এক কোনায় ঘর করে বসবাস করছি। আর আমি হাটবাজারে গান করে যা আয় হয় তা দিয়ে কোন মতে সংসার চালায়। জীবনের শেষ বয়সে এসে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাড়ি আমার এখন একমাত্র ঠিকানা। আমি অত্যন্ত আনান্দিত।
এছাড়া মনিগ্রাম ইউনিয়নের হেলালপুর গ্রামে লাইলী বেগমের মতো ঘর পেয়েছেন আবুল কালাম আজাদ, খদেজা বেগম, আবদুল রশিদ প্রাং, লিলা বেগম, শেরাজ আলী, রুবিনা আক্তার, আনারুল ইসলাম, আঞ্জেরা বেগম, রহিমা বেগম, মজিবর রহমান, আবদুস সালাম, রঙ্গিলা বেগম, মুংলা, পারুল বেগম, আলকা বেগম।