পরে সকাল ৯টায় প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন। এর আগে সোমবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ভিসির বাসভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে রাতভর অবস্থান করছিলেন তারা। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার ফারুকের মৃত্যুর খবর আসলে ভিসির বাসভবনের তালা খুলে দেন। পরে সকাল ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেন।
এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার ফারুকের মৃত্যুর ঘটনায় ২৪ ঘন্টার অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেন চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুরোধে আলোচনায় বসেছিলাম। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক মারা গেছেন। তাই বিষয়টি মাথায় রেখে একদিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছি। কাল আমাদের নিয়ে ভিসি আলোচনায় বসবেন। যদি ব্যাখা দিতে না পারেন তাহলে আমরা ফের আন্দোলনে যাবো।
এর আগে সোমবার দুপুরে রেজিস্টার দপ্তরে এডহক ভিত্তিতে একজন প্রতিবন্ধীর চাকরি নিশ্চিত হলে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ছাত্রলীগের চাকরি প্রত্যাশীরা। এরপর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে চাকরি প্রত্যাশী রাবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা স্বপন আহমেদ, ইলিয়াছ হোসেন, রাবি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়াসহ ছয় জনের একটি প্রতিনিধিদল ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সাথে সাক্ষাত করতে বাসভবনের ভেতরে যান।
ভিসি বিশ্রামে থাকায় ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে দেখা করেননি এবং চাকরি নিশ্চিতের বিষয়ে আস্বস্ত না করলে বাহিরে এসে তারা ভিসির ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। সেখানে আটকা পড়েন ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টরসহ প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা। সেখানে রাতভর অবস্থান করেন তারা।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ভিসি অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে প্রতিবন্ধী একটা ছেলেকে চাকরি দেয়ার জন্য। যেহেতু নিয়োগ বন্ধে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে, তাই আমি বিষয়টি সচিবকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে নিয়োগ দিতে বলেছেন এবং নিয়োগ দিয়েছি। এর প্রেক্ষিতে সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগ নেতারা এসে চাকরির দাবি করে। আমি জানিয়েছি, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে।