সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব) এর মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৪-এর অধিনায়ক (সিও) পুলিশের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আটক ৪ জঙ্গি সদস্য এখন আনসার আল ইসলামের হয়ে কাজ করলেও পূর্বে তারা হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। পরবর্তীতে হরকাতুল জিহাদ ভেঙে গেলে আনসার আল ইসলাম এ যোগদান করে। জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল দেশে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠায় যারা বিরোধ সৃষ্টি করতে চায় তাদেরকে শাস্তি হিসেবে ‘টার্গেট কিলিং’ করা। এজন্য তারা নিজেদের কাছে চাপাতি রাখতো।’
তিনি বলেন, ‘জঙ্গি তৎপড়তা, প্রশিক্ষণ ও করণীয় সম্পর্কে তারা নিজেদের মধ্যে অনলাইনে প্রটেক্টিভ অ্যাপস, প্রটেক্টিভ টেক্সট, প্রটেক্টিভ ব্রাউজারের মাধ্যমে যোগাযোগ করতো। তারা নির্ধারিত ফরমেটে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন ও অগ্রগতি তাদের আমিরের নিকট দাখিল করতো। এই দলের সদস্যরা এন্ড্রয়েট মোবাইল বা ল্যাপটপের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রটেক্টিভ অ্যাপস, ম্যাসেঞ্জার ও ব্রাউজার ইত্যাদি ব্যবহার করে বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে উগ্রবাদী সংবাদ, বই, উগ্রবাদী ব্লগ, উগ্রবাদে উৎসাহমূলক ভিডিও আপলোড ও শেয়ার করে নিয়মিত নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিরা কাট-আউট মেথড অবলম্বন করছিল বিধায় তাদের সনাক্ত করা কঠিন ছিল। সহজে কেউ কারও সাথে দেখা কিংবা সাক্ষাৎ করতো না, ফলে কেউ কাউকে চেনেনা। তবে কোনও নাশকতার পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, গোপনীয় তথ্য সরাবারহ ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তারা একসঙ্গে হতো।’
র্যাবের এই অধিনায়ক জানান, ‘নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের এই সদস্যের সঙ্গে আমরা আরও ২০-২৫ জন জঙ্গি সদস্যের লিঙ্ক পেয়েছি। তাদের সবাইকে আটকের চেষ্টা চলছে।’
আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে ল্যাপটপ, অ্যান্ড্রয়েড ফোনসহ বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। সেখানে জঙ্গিবাদের প্রশিক্ষণের নানা ক্লিপস পাওয়া যায়। যেগুলো দেখে তারা উদ্বুদ্ধ হয় এবং নতুন সদস্য সংগ্রহ করে।
আটক জঙ্গিরা হলেন- মুফতি সাইফুল ইসলাম (৩৪), মো. সালিম মিয়া (৩০), জুনায়েদ (৩৭) ও আহম্মেদ সোহায়েল (২১)।