জানাজার আগে প্রিয় মানুষ কোরবান আলির আকষ্মিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে স্মৃতি চারণ করেন শিল্পপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দীন বিশ্বাস, অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল জলিল, জাতীয় পার্টির দৌলতপুর উপজেলা সভাপতি মীর আব্দুল আওয়াল মাষ্টার, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ রেজাউল হক চৌধূরী, সাবেক সংসদ সদস্য আফাজ উদ্দীন আহাম্মেদ, বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ রেজা আহাম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, দৌলতপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও কোরবান আলির ভাস্তে মোঃ আলি আকবর, পুত্র শারিয়ার জামিল জুয়েল, দৌলতপুর থানা জাসদের সভাপতি রেজাউল হক প্রমূখ।
এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেছে আল্লারদর্গা প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার জালাল উদ্দীন, দৌলতপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তৌফিকুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন, নাসির উদ্দীন বিশ্বাস উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল্লাহ, আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আসাদুজ্জামান চৌধূরী, নাসির গ্র“ফ অব ইন্ডাঃলিঃ এর সত্তাধীকারী আলহাজ্ব নাসির উদ্দীন বিশ্বাস, এন.জামান ইন্ডাঃলিঃ এর ম্যনেজিং ডিরেক্টর আলহাজ্ব নূরুজ্জামান বিশ্বাস, হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পিয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ লালু সহ ১৪ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম প্রমূখ। জানাজায় সর্ব স্তরের হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহণ করে।
জানাগেছে ২ আগষ্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। প্রকৃতপক্ষে মৃত্যু কালে বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। সার্টিফিকেট অনুযায়ী তার জন্ম ১৯৫১ সালের ১ জুলাই, ১৯৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন থেকে রাজনীতি সুরু করেন, পরে ১৯৭২ সালে বাংলার ছাত্র ইউনিয়ন করেন এবং ঢাকায় জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেন, ১৯৭৭ সালে ছাত্র মৈত্রীর প্রচার সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৬ সালে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য নির্বচিত হন, ১৯৮৮-৮৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য প্রতিমন্ত্রীর দ্বায়ীত্ব পালন করেন। সর্ব শেষ তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যন ও কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক হিসেবে দ্বায়ীত্ব পালন করে আসছিলেন।
মরহুম কোরবান আলি এলাকার হলুদবাড়ীয়া গ্রামের মরহুম হাজী আব্দুল হাকিমের দ্বিতীয় পুত্র। তিনি পাইলস্ ও রক্ত ক্ষরণ জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা ইডেন মাল্টি কেয়ার হাসপাতালে পাইলস্ অপারেশন করেন এবং অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র ও ২ কন্যা সহ অসংখ্য গুনগ্রহী রেখে গেছেন। বুধবার যোহরের নামাজের পর আল্লারদর্গাস্থ পারিবারিক কবর স্থানে জানাজার নামাজ শেষেদাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্থরের হাজার হাজার মানুষ জানাজা নামাজে অংশ গ্রহণ করেন।