ভিকটিমের স্বজন ও ভিকটিম সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়দল উওর ইউনিয়নের মাণিগাঁও গ্রামের পিতৃহীন ও মানসিক ভারসাম্যহীন মায়ের কাছে থাকা ১২ বছরের এতিম কিশোরী কন্যাকে সোমবার তার চাচাত বোন বেড়ানোর কথা বলে বাদাঘাটের কুনাট গ্রামে স্বামী আলমাসের বাড়িতে নিয়ে আসে। রাতে আলমাস ওই কিশোরীকে নতুন জামাকাপড় কিনে দেয়ার কথা বলে গালর্স স্কুলের সামনের হাওরে থাকা এক চিহ্নিত পতিতালয়ে জসীম উদ্দিন ও রুপজীবিনী স্ত্রী বিলকিসের নির্জন বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে ভগ্নিপতি আলমাস সহ ওই নির্জন বাড়িতে কমপক্ষ্যে ৬ লম্পট ওই কিশোরীকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরীর রক্ষক্ষরণ ও সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে। বুধবার রাতেও ভয়-ভীতি দেখিয়ে আটকে রেখে দ্বিতীয় দফায় গণধর্ষণ করে ঐ ৬ লম্পট। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরবেলা ওই পতিতালয় থেকে পালিয়ে কিশোরী পার্শ্ববর্তী ঘাগড়া গ্রামে তার এক দরিদ্র চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আত্বীয় স্বজনদের নিকট গণধর্ষণের কথা জানালে লম্পট ভগ্নিপতি আলমাস, তার সহোদর আক্তার, রতন সহ ধর্ষণকারীরা গ্রাম্য সালিসে বিষয়টি নিষ্পক্তি করার জন্য চাঁপ সৃষ্টি করে ওই কিশোরীকে নজরধারীতে রাখে। শুক্রবার সকাল থেকে অসুস্থ্য ওই কিশোরীকে তার স্বজনদের নিয়ে কয়েকদফা চেষ্টা করে চিকিৎসা সেবা নিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আইনি সহায়তা পেতে থানায় যেতে চাইলে ধর্ষণকারীরা নানা ভয়ভীতি ও বাঁধার সৃষ্টি করে ঘাগড়া গ্রামেই ধর্ষিতা এতিম কিশোরীকে অবরুদ্ধ করে রাখে। ভিকটিম তার স্বজনের মুঠোফোনে শুক্রবার বেলা দু’টার দিকে এ প্রতিনিধিকে কান্না জড়িত কন্ঠে ঘটনাটি নিশ্চিত করে পুলিশ পাঠিয়ে তাকে উদ্ধারের জন্য আকুতি জানিয়েছে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলে। থানার ওসি মো: শহীদুল্লাহকে বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি বললেন, ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে ২৪ ঘন্টার ভেতর কিশোরীকে উদ্ধার করে চিকিৎসাসেবা ও আইনি সহায়তা দেয়া হবে।