স্টাম্প দিয়ে আবরারকে প্রচণ্ড মারধর করে সকাল

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের মধ্যে প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ইফতি মোশাররফ সকাল।

বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সকাল বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা।

আবরার হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বৃহস্পতিবার বিকেলে ইফতি মোশাররফ সকালকে মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসির আহসান চৌধুরীর আদালতে নিয়ে যান। সেখানে ১৬৪ ধারায় তার জবনবন্দী রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দী নেওয়ার পর সকালকে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন বিচারক।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আবেদনে বলেন, ‘আসামি ইফতি মোশাররফ সকাল ৬ অক্টোবর আবরার ফাহাদ রাব্বীকে বুয়েট শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুম থেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ডেকে নিয়ে যান। পরের দিন (৭ অক্টোবর) হলের ২০১১ নম্বর রুমের ভেতরে নিয়ে ইফতিসহ মামলার এজাহারভুক্ত ও অন্যান্য আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্রিকেটের স্টাম্প এবং লাঠি-সোটা দিয়ে আবরারের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচণ্ড মারধর করেন। মারধরের ফলে তিনি মারা যান।’

তার মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামিরা ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে মৃতদেহ ফেলে রাখেন। পরে কয়েকজন ছাত্র তার দেহ সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান আবরার ফাহাদ। এই ঘটনায় পরের দিন নিহতের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

Comments (০)
Add Comment