মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘‘আমার দেশ অনলাইনসহ ৩০টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের প্রতিবাদ এবং আমার দেশ পড়তে চাই, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি চাই’’ শীষর্ক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। দৈনিক আমার দেশ পরিবার এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারে গ্রামাঞ্চলে বসবাসরত বিএনপির সমর্থক অনেকেই এখন ঢাকায় হকারের কাজ করছে।’
প্রতিবাদ সভার একপর্যায়ে মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হওয়া বেশ কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তখন সমগ্র প্রতিবাদস্থলে মুহূর্তের মধ্যে নেমে আসে নীরবতা।’
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদের নামে এখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ধরা হচ্ছে। কারণ এ প্রক্রিয়ায় ভয়ভীতির পাশাপাশি বাণিজ্য ভালো হয়। প্রতিদিন ক্রসফায়ার চলছে। কাউকে কাউকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আর খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
সম্প্রতি কল্যাণপুরে বিএনপির সমর্থক একজন ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে জঙ্গিবাদ নামের তালিকা থেকে মুক্ত হলেও জেলে যাওয়া থেকে মুক্ত হতে পারেনি বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল।
বিএনপি এ শীর্ষ নেতা আরও বলেন, ‘গুপ্তহত্যায় জড়িত সন্দেহে যে কয়েকজনকে ধরা হয়েছে তাদের সবাইকে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। তাহলে কোথায় তদন্ত, কোথায় জঙ্গিবাদের মূল উৎসের তথ্য?’
নতুন নতুন আইন করা হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে পুরোপুরি স্বৈরতান্ত্রিক একদলীয় শাসন বাস্তবায়নে ফ্যাস্টিটে পরিণত হয়েছে সরকার। ফলে এখন নতুন নতুন আইন করা হচ্ছে। যে আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান গৃহীত হওয়ার পথে। কাজেই এ থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে। কারণ এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কবি ফরহাদ মাজহার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (একাংশ) মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী এবং বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ। ব্রেকিংনিউজ