আইপিএলের ফাইনালে কলকাতা-হায়দরাবাদ মহারণ কাল

ফাইনালের আগে দুই অধিনায়কের ফটোসেশন। ছবি : বিসিসিআই

ধ্রুপদী লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত। প্রস্তুত দুই প্রতিপক্ষও। একদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্স, অন্যদিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মঞ্চটা যদি হয় ফাইনালের, তবে রোমাঞ্চটা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। কলকাতার তৃতীয় না কি হায়দরাবাদের দ্বিতীয়? কে হাসবে শেষ হাসি। চেন্নাইয়ে কামিন্স-আইয়ারদের ব্যাটে-বলের জমজমাট লড়াই দেখতে মুখিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।

আইপিএলে এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেললেও দুইবারই শিরোপা জিততে পেরেছে কলকাতা। ২০১২ ও ২০১৪ মৌসুমে। দুবারই শিরোপাজয়ী দলের সদস্য ছিলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। অন্যদিকে, ২০১৬ সালে একবারই শিরোপা জেতে হায়দরাবাদ। সেই দলটির সদস্য ছিলেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

এবারের আইপিএলে কলকাতার জন্য বড় প্রাপ্তি অলরাউন্ডার সুনীল নারিনের দারুন ছন্দ। ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৭৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৮২ রান করার পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। ফাইনালেও তাই তার দিকেই চেয়ে থাকবে দল। চতুর্থবারের মতো ফাইনাল খেলতে যাচ্ছেন এই ক্রিকেটার। ফাইনালে মোট ৩২ জন ভারতীয় ক্রিকেটার থাকলেও নেই বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটারদের কেউ। কলকাতার রিঙ্কু সিংহ থাকলেও তিনি বিশ্বকাপে ভারতের মূল দলে নেই।

বোলিং আক্রমণেও খুব একটা পিছিয়ে নেই হায়দরাবাদ। প্যাট কামিন্স, ভুবেনেশ্বর কুমারদের মতো অভিজ্ঞরা কলকাতার ব্যাটারদের ভোগাতে পারেন। তবে, সব ছাপিয়ে আলোচনায় চিদাম্বারামের উইকেট। এখন পর্যন্ত এই মাঠে খেলা ৮৪ ম্যাচের মধ্যে আগে ব্যাট করা দলই জিতেছে ৪৮টি। পরে ব্যাট করা দল জিতেছে ৩৫টি। তাই টস বড় একটা ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছে এই ম্যাচে। যদিও আইপিএলে শেষ ১০ ম্যাচে পরে ব্যাট করা দলই এখানে বেশি ম্যাচ জিতেছে।

Comments (০)
Add Comment