আইসিসির মার্চের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার তালিকায় সাকিব

মার্চ মাসে ছন্দে থাকার পুরস্কার পেলেন সাকিব। ছবি : আইসিসি

মাঠের বাইরে যা-ই হোক, মাঠের ক্রিকেটে দারুণ সময় কাটছে সাকিব আল হাসানের। মার্চ মাসে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে জেতা ঐতিহাসিক দুই সিরিজে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশকে। পুরস্কারও পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) আইসিসি মার্চ মাসের সেরা খেলোয়াড়ের মনোনয়ন পাওয়া চূড়ান্ত তিনজনের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় থাকা সেরা তিনের একজন হিসেবে জায়গা পেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তালিকায় সাকিবের সঙ্গে থাকা বাকি দুজন হলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আসিফ খান।

মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে ৭১ বলে ৭৫ রান করার পাশাপাশি বল হাতে ৪ উইকেট শিকার করেন সাকিব। এরপর ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংলিশদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচেই উইকেট পাওয়া সাকিব প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলেন ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রানের ইনিংস।

সাকিবের ধারাবাহিকতা বজায় ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই সিরিজেই। প্রথম ওয়ানডেতে খেলেছিলেন ৯৩ রানের অসাধারণ ইনিংস। ওয়ানডে শেষে টি-টোয়েন্টিতেও দেখান নৈপুণ্য। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সাকিবের দুর্দান্ত অলরাউন্ড শো দেখে ক্রিকেটবিশ্ব। ব্যাট হাতে ২৪ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ঝড়ের পর বল হাতে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৫ উইকেট পান তিনি। সাকিবের এমন পারফরম্যান্সে আইরিশদের হারিয়ে বাংলাদেশ জিতে নেয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পায় টানা দুই সিরিজে জয়ের স্বাদ। মার্চে সাকিব খেলেছেন মোট ১২ ম্যাচ। রান করেছেন ৩৫৩, উইকেট পেয়েছেন ১৫টি।

মার্চ মাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়ার প্রতিযোগিতায় সাকিবের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর একজন কেন উইলিয়ামসন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তিন ইনিংস ব্যাট করে হাঁকিয়েছেন একটি শতক ও একটি দ্বিশতক। দুই ম্যাচে করেছেন ৩৩৭ রান। আরেকজন আসিফ খান বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাইপর্বের লিগ টুর শেষ তিন ম্যাচে দুটো অর্ধশতক করে আরব আমিরাতকে মূল বাছাই পর্বে খেলার দৌঁড়ে টিকিয়ে রেখেছেন।

এ ছাড়া মার্চে নেপালের বিপক্ষে খেলেন ৪২ বলে অপরাজিত ১০১ রানের বিস্ফারক ইনিংস। আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে এটিই ওয়ানডেতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।

উইলিয়ামসন ও আসিফ খান শুধু ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন দলের জন্য। সাকিব সেখানে ব্যাট বল দুই ভূমিকাতেই রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। চূড়ান্ত সেরা হওয়ার লড়াইয়ে সাকিব তাই এগিয়ে থাকবেন কিছুটা হলেও।

Comments (০)
Add Comment