আগামী এক বছরের মধ্যে রাজশাহী জেলা হবে শিশুশ্রম মুক্ত- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার: আগামী এক বছরের মধ্যে রাজশাহী জেলাকে শিশুশ্রম মুক্ত করা হবে। এটা একটি পাইলট প্রকল্প। রাজশাহীতে সফলতা অর্জন করলে সারাদেশে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নজরুল ইসলাম চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম বলেন, শিশুশ্রম নিরসনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সমাজে একজন বিত্তবান মানুষ যদি প্রতিবেশির দুইজন অবহেলিত শিশুর দায়িত্ব নেয়, তাহলে শিশুশ্রম অনেকাংশে কমে আসবে। শিশুশ্রম নিরসন করা কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়, সকলকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমস্যা আমরা সবাই জানি, তবে সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যাবে সেটাই মুখ্য বিষয়। সকলের সদিচ্ছা না থাকলে শিশুশ্রম নিরসন উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে না। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের সর্তক থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। আপনাদের শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী যেনো ঝরে না পড়ে এ বিষয়ে নজর রাখবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রম ও কর্মজীবী মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর সদস্যপদ লাভ করে। শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শিশুশ্রম আইন প্রনয়ন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় নানামুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে বর্তমান সরকার মেহনতি ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় তিনি শিশুশ্রম নিরসন বিষয়ক যে কোনো সমস্যা সমাধানে ১৬৩৫৭ টোল ফ্রি নাম্বারে ফোন করার পরামর্শ দেন।

বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাহবুব আলম, অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ তারিকুল আলম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ আবদুর রহিম খান, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুর রহমান, ইউনিসেফ বাংলাদেশ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের চিফ ফিল্ড অফিসার এ এইচ তৌফিক আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্নসচিব মোছাঃ হাজেরা খাতুন।

এরপর শ্রম পরিস্থিতি ও শোভন কর্মপরিবেশ বিষয়ে অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Comments (০)
Add Comment