আরিয়ান সৌভাগ্যবান, গরিব হলে কী হতো

বলিউড সুপারস্টার আরিয়ান খানের মাদক মামলা লড়েছিলেন মুম্বাইয়ের অন্যতম শীর্ষ আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। তিনি দাবি করেছেন, আরিয়ান সৌভাগ্যবান এ কারণে যে তাঁর বাবা সেরা আইনি দল নিয়োগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সন্তান হলে কী হতো, সে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন এ আইনজীবী।

ভারতের আইনবিষয়ক পোর্টাল বার অ্যান্ড বেঞ্চকে উদ্ধৃত করে বলিউড লাইফের খবর, সতীশ মানশিন্ডের দাবি, কোনও প্রকার প্রমাণ ও ষড়যন্ত্র ছাড়াই আরিয়ান খানকে দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয়েছে।

বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গত ২ অক্টোবর আটক করে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। এর পর গ্রেপ্তার, রিমান্ড শেষে কারাভোগ। ২৮ দিন পর গতকাল শনিবার  বাড়ি ফেরেন এ স্টার কিড।

পোর্টালটিকে সতীশ মানশিন্ডে বলেছেন, ‘আরিয়ান খান সৌভাগ্যবান যে তাঁর বাবা তাঁর জন্য একটি আইনি দল পেয়েছিলেন, যা তাঁর মতে দেশসেরা। এই দেশে হাজার হাজার মানুষ আছে, যারা আইনজীবী নিয়োগ দিতে পারে না; যারা অশিক্ষিত, দরিদ্র ও অবহেলিত। আমাদের দেশ ও বিচারব্যবস্থাকে এমন লোকদের কথা ভাবতে হবে এবং সংশোধন করতে হবে।’

সতীশ আরও বলেন, ‘কোনও প্রকার প্রমাণ ছাড়াই যদি একজন তারকার সন্তানকে ২৫ দিন ভুগতে হয়, তবে একজন গরিব মানুষের কী হবে, তা যে কেউ কল্পনা করতে পারে।’

আরিয়ান খানের পক্ষে আইনি লড়াই চালান দেশের বিশিষ্ট তিন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে, অমিত দেশাই ও মুকুল রোহাতজি।

স্ক্রিনশট

গতকাল শনিবার ভারতীয় সময় সকাল ১১টার দিকে আরিয়ান খান আর্থার রোড জেল থেকে বের হন। কারাফটক এবং শাহরুখ খানের বাসভবন মান্নাতের বাইরে আরিয়ান খানকে এক পলক দেখতে ভিড় জমান ভক্তরা।

মাদককাণ্ডে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা জেরার পর ৩ অক্টোবর বিকেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার দেখায় এনসিবি। আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এনডিপিএসের ৮সি, ২০বি, ২৭, ২৯ ও ৩৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

মুম্বাইয়ের উপকূলে একটি প্রমোদতরীতে চলমান মাদক পার্টি থেকে গত ২ অক্টোবর রাতে আরিয়ান খানসহ মোট আটজনকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)। যাত্রীর ছদ্মবেশে কর্ডেলিয়া নামে বিলাসবহুল ওই প্রমোদতরীতে চেপে বসেছিলেন এনসিবির গোয়েন্দারা। পরে মাদককাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ২০ জনের বেশি মানুষকে আটক করে এনসিবি।