ইভিএম যাচাইয়ে ৩৯ রাজনৈতিক দলকে ইসির আমন্ত্রণ

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন। ছবি : সংগৃহীত

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় পরিসরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যদিও এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্তের আগে প্রযুক্তিবিদদের জনমত যাচাই করছে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ইসির নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলকে ‘ইভিএম যাচাইয়ের’ আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিচ্ছে ইসি।

আজ বৃহস্পতিবার ইসির যুগ্মসচিব ও জনসংযোগ শাখার পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে গতকাল থেকে চিঠি দেওয়া শুরু হয়েছে।’

এসএম আসাদুজ্জামান জানান, তিন দফায় মোট ৩৯টি দলকে ‘ইভিএম যাচাইয়ের’ আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আগামী ১৯, ২১ ও ২৮ জুন দলগুলোর সঙ্গে বসবে ইসি। প্রতিদিন ১৩টি করে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইভিএম যাচাই করতে পারবে।’

এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সব দলের সাধারণ সম্পাদক বরাবর এ চিঠি দেওয়া হচ্ছে। দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে।’

জানা গেছে, ৩৯ দলের মধ্যে জাতীয় পার্টিসহ ১৩টি দলকে আগামী ১৯ জুন তাদের প্রতিনিধি দল পাঠাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিএনপিসহ আরও ১৩টি দলকে ২১ জুন এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বাম দলগুলোকে ২৮ জুন তাদের প্রতিনিধি পাঠাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

১৯ জুনের জন্য আমন্ত্রণ পাচ্ছে—জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

২১ জুনের জন্য আমন্ত্রণ পাচ্ছে—বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল।

২৮ জুনের জন্য আমন্ত্রণ পাচ্ছে—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল-এমএল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট।