একসঙ্গে জ্বলে উঠল পদ্মা সেতুর ২০৭ বাতি

আর মাত্র ১১ দিন পরই খুলছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর দুয়ার। সেতু চালু হলে উত্তাল পদ্মা পাড়ি দিতে আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের। 

এখন সেতুতে চলছে শেষমুহূর্তের কাজ। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে আলোয় ঝলমলে করে উঠেছিল পদ্মা সেতু। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৭টা পর্যন্ত মাওয়া প্রান্তে একসঙ্গে জ্বালিয়ে রাখা হয় ল্যাম্পপোস্টে স্থাপিত ২০৭টি বাতি।

আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। পরদিন সকাল থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দ্বার উন্মোচন হতে চলেছে।

পদ্মা সেতুর একজন নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, সোমবার সাড়ে ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে আলোয় ঝলমলে করে উঠল পদ্মা সেতু। মাওয়া প্রান্তের ল্যাম্পপোস্টে একসঙ্গে জ্বলে ওঠে ২০৭টি বাতি।

এতে করে মাওয়া প্রান্তের সব ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বলল এই প্রথম। এর আগে ৫ জুন বিকেলে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো হয়। ওই দিন সেতুর ১৪ নম্বর থেকে ১৯ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি ২৪ ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছিল। এরপর ১১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে বাতি জ্বালানো হয়।

মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দেওয়া বৈদ্যুতিক সংযোগের মাধ্যমে এই প্রথম মাওয়া প্রান্তের ২০৭টি ল্যাম্পপোস্টে বাতি জ্বালানো হয়েছে। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে জেনারেটরের মাধ্যমে আলো জ্বালানো হয়েছিল।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতুতে বৈদ্যুতিক বাতি রয়েছে ৪১৫টি। আর দু’পাশের সংযোগ সড়কে রয়েছে আরও ২০০ বাতি। গত বছরের ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট বসানো ও বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়।

এরপর পুরো সেতুতে কেবল টানা হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ মে প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ করে মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।