তাদের এ ভাবনা বাস্তবে পরিনত হয় যখন তারা কম্বোডিয়ায় সফলভাবে প্রথম ফ্লাইং কার তৈরী করে। আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কম্বোডিয়াও অন্যান্য দেশের মত প্রযুক্তিখাতে উন্নতির দিকে চোখ রাখছে, এবং এমন সব উদ্ভাবনের দিকে নজর দিচ্ছে যা দৈনন্দিন জীবনে কাজে আসবে।
লন বলেন, ”আমি স্কুল ডরমেটরিতে থাকি। আমিসহ আমরা দুই ভাই। আমার বাবা- মা কৃষক। আমি এ প্রজেক্ট করতে পেরে গর্বিত কিন্তু এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। মানুষ্যবাহী এ ড্রোন প্রকল্পে আমি মূল কন্ট্রোলারটি বানিয়েছি।”
তার সহকর্মী তৃতীয় বর্ষের ছাত্র চরই সথেরা জানিয়েছেন, তিনি এ প্রজেক্টে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন কারণ তত্ত্বগত যে বিদ্যা তিনি শিখেছেন তা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন তিনি। এ কঠিন প্রকল্প সম্পর্কে তিনি জানান, ”এ গাড়ীর ড্রোনটি বানানো ঝামেলাপূর্ণ ছিলো কারণ আমরা শুধুমাত্র ভিডিওতে এটি দেখেছিলাম।
তাদের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান সহকারী হওর সোক উন, ছাত্রদের নিয়ে তার গর্বের কথা জানান। তাদের এ কাজ দেশের প্রযুক্তিখাতে উন্নয়নের অবদান রাখাসহ দৈনন্দিন সমস্যা যেমন ট্রাফিক জ্যাম লাঘবে অবদান রাখবে বলে তিনি আশা করেন। তবে সোক উন গাড়ীর ড্রোনটিকে একটি ট্যাক্সি ড্রোনে রুপান্তরিত করার পরামর্শ দেন, যাতে করে এটি কৃষিকাজে বা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যবহার করা যায়।
সবশেষে উন বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানী ও শ্রম মন্ত্রণালয়কে প্রকল্পটির ব্যয়ভার বহনে স্পন্সর করতে এগিয়ে আসার আহবান জানান কারণ এটি খুবই ব্যয়বহুল।