সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকের পর মন্ত্রী ও কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ২৪-২৫ জনকে নিয়ে নিজ কার্যালয়ে বিশেষ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের বরাত দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, যে করেই হোক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতেই হবে। একইসঙ্গে চীন থেকে ফিরে আসা ৩১২ জনকে অবশ্যই ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। এ ব্যাপারে কোনও ছাড় দেয়া হবে না।’ব্রেকিংনিউজ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারপ্রধান পরিষ্কারভাবে বলেছেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত যেসব উহানের শ্রমিক আছে, তাদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে উহারে ফেরত গেছে তাদেরকে আর বাংলাদেশে ফেরত আসতে দেয়া হবে না। তাদের ওয়ার্ক পারমিটও নবায়ন করা হবে না।’
খন্দকার আনোয়ারুল হক জানান, উহান থেকে ঢাকায় আসা চারটি ফ্লাইট খুব বেশি যাত্রী বহন করে না। ফলে ইউএস-বাংলাসহ অন্যান্য এয়ারলাইনসগুলো নিজেরাই এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দেবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, চীনের উহানে এখনও ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের দ্রুতই দেশে ফেরত আনা হবে। তবে তাদের আনতে দেশ থেকে বিমান পাঠানো যাবে না। কারণ যে বিমান পাঠানো হয়েছিল, সেটির পাইলট ও ক্রুদের এখন সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশ ভিসা দিতে চাচ্ছে না। ফলে এখন বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়কে চার্টার্ড বিমান নিতে বলা হয়েছে।’
বৈঠকে বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মহিবুল হক ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর এম আবদুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন।