ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি বিকল ॥ রোগীদের ভোগান্তি
মো:নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি:: ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে বিকল হয়ে রয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের। উপায়হীন হয়ে সরকার নির্ধারিত ফি’র ৫ গুণেরও বেশি টাকা দিয়ে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে এক্সরে করাতে হচ্ছে রোগীদের। প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করা এক্সরে রিপোর্টে ভুল থাকায় এ নিয়ে বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। সদর হাসপাতালের এক্সরে অপারেটর দিলীপ জানান, প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন রোগী সরকার নির্ধারিত ফি ৭০ টাকা দিয়ে এক্সরে করায়। ২১ জুলাই মেশিনটি বিকল হয়ে যায়। বিষয়টি সিভিল সার্জন মহোদয়কে অবহিত করা হলে তিনি মেশিনটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী বরাবরে লিখিতভাবে অবহিত করেন। এখন পর্যন্ত মেশিনটি সংস্কার বা মেরামত না করায় রোগীর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বাহির থেকে ৪০০ টাকায় এক্সরে করাতে হচ্ছে।
ভূক্তভোগী রোগী গৌতম মৃধা জানান, পড়ে গিয়ে ডান হাতের কনুতে ব্যাথা পেয়েছি। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসককে দেখালে তিনি এক্সরে করতে দেন। হাসপাতালের এক্সরে মেশিন নষ্ট থাকায় হাসপাতালের সামনেই মমতাজ ডায়াগনস্টিকে ৪০০ টাকা দিয়ে এক্সরে করাই। এক্সরে কাগজ ও রিপোর্ট নিয়ে পুনরায় চিকিৎসকের কাছে তিনি রিপোর্ট দেখে ওষুধ দেন এবং হাতটি গলায় ঝুলিয়ে রাখতে পরামর্শ দেন। ১০/১২ দিন অতিবাহিত হলে ব্যাথা না কমায় সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপক চন্দ্র কীর্তনীয়াকে পুনরায় দেখাই। তিনি এক্সরে রিপোর্ট না দেখে সরাসরি কাগজটি দেখতে চান। কাগজটি দেখে তিনি হাতের ৩ টি স্থানে ফ্যাকচার হয়েছে বলে ব্যান্ডেজ করতে দেন।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে রোগীরা বলেন, হাসপাতালের এনালগ এক্সরে মেশিন চালু থাকতে চিকিৎসকরা ডিজিটাল এক্সরে মেশিনে চেক করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু বিকল হবার পরে আর ডিজিটালের নির্দেশনা না দিয়ে সরকারীভাবেই এক্সরে করানোর পরামর্শ দিতেন। ১ মাসের বেশি সময়ে বিকল এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২২/২৫ জন রোগীকে সরকারী এক্সরে করানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ আঃ রহিম জানান, এক্সরে মেশিনের বিকল অবস্থা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল দপ্তরকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। সংস্কার বা মেরামতের কাজ প্রায় শেষ। আশা করি আগামী সপ্তাহে এক্সরে মেশিন আসবে। সেই সাথে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।