কুবিতে ৫ দফা দাবিতে আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন; ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যায়ের (কুবি) প্রকৌশলী অনুষদের ভবন হস্তান্তর, উন্নতমানের পর্যাপ্ত ল্যাব, শিক্ষক সংকট নিরসনসহ পাচঁ দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন ইনফরমেশন এন্ড কমিউকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে বিভাগের শিক্ষার্থীরা পাচঁ দফা দাবিতে এ আন্দোলন শুরু করে।  পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও প্রকৌশলী অনুষদের ডিন ড. সজল চন্দ্র মজুমদার দ্রুত এসব সংকট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের সাথে শিক্ষার্থীদেরসহ দেখা করার আশ্বাস প্রদান করলে আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা এবং আগামীকাল বেলা ১১টা পর্যন্ত সময়সীমা বেধেঁ দিয়ে স্বারকলিপি দেন। এছাড়া দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত বিভাগের সব ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা করেন বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের আওতাধীন বিভাগটিতে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট সাতটি ব্যাচ চলমান রয়েছে। প্রত্যেক ব্যাচকে প্রতি সেমিস্টারে অন্তত ১১ থেকে ১৩টি কোর্স অধ্যায়ন করতে হয়। কিন্তু বিভাগটির জন্য বরাদ্দ রয়েছে মাত্র একটি শ্রেণিকক্ষ ও একটি ল্যাব। পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ না থাকায় ক্লাস করতে যেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে বিভাগটিতে বাড়ছে সেশনজট। বিভাগটির ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ ২০১৭ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করার কথা থাকলেও তারা কিছুদিন পূর্বেই স্নাতকোত্তর ২য় বর্ষের পরীক্ষা শেষ করেছেন। বিভাগের অন্য ব্যাচগুলোতেও সেশনজটের ভয়াবহতা প্রকট।
শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো উল্লেখ করেন তা হলো, প্রকৌশলী ভবন হস্তান্তর, পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন ল্যাবরুম নিশ্চিতকরণ, আইসিটি মন্ত্রানালয় থেকে প্রাপ্ত দুটি ল্যাবের সুষম বন্টন, শিক্ষক সংকট নিরসন, জৈনিক শিক্ষকের বক্তব্য প্রত্যাহার।
শিক্ষার্থীরা জানান, একটি টেকনিক্যাল বিষয়ে পড়ার পরও আমাদের বিভাগে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, ল্যাব নেই। বাণিজ্য অনুষদের একটি রুমে গত ১০ বছর ধরে একটি বিভাগ কিভাবে ক্লাস করে আসছে সেদিকে খেয়াল নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। আমরা বারবার অভিযোগ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেদিকে লক্ষ্য করেনি। আমাদের দাবি মানা হওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
তারা আরো জানান, বিশ্ববিদ্যালয়কে আইসিটি মন্ত্রানালয় থেকে দুটি ল্যাব দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর সুষম বন্টন হয়নি। আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে বসার কথা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিনেও কেন নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  এবং রেজিস্ট্রার। একজন শিক্ষক কিভাবে একটি বিভাগের শিক্ষার্থীও একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যেতে বলে, ওই শিক্ষককে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ‘আন্দোলনের বিষয়ে আমরা অবগত আছি। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে আমরা জিম্মি। আজ রাতের মধ্যে প্রকৌশল ভবনে দুটি কক্ষ আইসিটি বিভাগের জন্য দিতে বলা হয়েছে। ’
Comments (০)
Add Comment