অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মৃত নয়ন উদ্দিন শরিক ও আজিজুল হকের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ রিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে কয়েকবার স্থানীয় মাতাম্বরগণ শালিসী বৈঠকে বসলেও আজিজুল হক তা না মেনে চলে যায়।
এরই সূত্র ধরে গত ১১-৪-২২ ইং তারিখে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার সময় আজিুজুল হক ও তার ছেলে সরকারি কর্মচারি ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে নয়ন উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া ও রবিউল ইসলামের বাড়িতে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে বেধরক মারপিট করে। এর আগে বাচ্চু মিয়ার ছেলে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর একাউন্টেট মিলন মিয়াকে জিম্বি করে দেড় লক্ষাধীক টাকা ও গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়।
এসময় তাদের আত্ম চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন এবং আহত ফিরোজ, সাবিনা, নার্গিস, মিলন ও মারুফকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সুযোগে ওই রাতেই বাঞ্ছারচর বাজার সংলগ্ন উত্তর পাশে ১৬ শতক জমি দখল করে টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন আজিজুল হক।
এ ঘটনায় পরের দিন রবিউল বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেন। এতে আজিজুল হক আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৭ এপ্রিল রাতের অন্ধকারে রবিউলের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে রৌমারী থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করেন।
নির্যাতিত পরিবার বাচ্চু মিয়া বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি ওয়ারিশসূত্রে ওই জমি আমরা দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসছি। আজিজুল হক আমাদের ওই জায়গা দখল করে টিনশেড ঘর উঠায়, বাড়িতে আগুন লাগায় ও মারপিটও করে। তাই আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
এবিষয়ে আজিজুল হক জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, তবে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে কিছু ঝামেলা রয়েছে।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত করা হচ্ছে। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।