চরাঞ্চলের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব জমিতে চিনা বাদাম ছাড়া অন্য কোন ফসল চাষ করা অপ্রযোজ্য । যার ফলে তারা অন্যান্য ফসল চাষ না করে বাদাম চিনার প্রতি আগ্রহী বেশি।
তারা আরও জানিয়েছেন ১ বিঘা জমিতে চিনা চাষ করলে খরচ হয় ৬থেকে ৭ হাজার টাকা এতে ২০/২৫ মুন চিনা পাওয়া যায়। সাত হাজার টাকা খরচা করে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়, যদি বাজার ভালো থাকে । সরেজমিন ঘুরে চরাঞ্চলে দেখা গেছে প্রত্যন্ত এলাকার বাস্তব চিত্র। যেদিকে তাকায়ই সেদিকেই শুধু চিনার মাঠ এছাড়া আর কোন ফসল না থাকার মতোই। মাঝেমধ্যে সামান্য জমিতে ভূট্রা রয়েছে আর বাকি জমিতে শুধু চিনার ফলন বাতাসে দুলছে।
এবিষয়ে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান আমাদের এখানে চিনার আবাদ খুবই কম। এর কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ফসলটা আগে যেমনটা ভূমিকা ছিলো এখন চিনা চাষীর সংখ্যা, খুবই কম দেখা যাচ্ছে। যার ফলে ওই ফসলের প্রতি খুব একটা গুরুত্ব নেই কৃষকদের। তারপরও এবার ৫০ হেক্টর জমিতে চিনার চাষাবাদ করা হয়েছে এতে চিনার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে চিনার প্রতি কৃষকদের ভূমিকা একদম কমে গেছে।