কুড়িগ্রামের রৌমারী জোড় পূর্বক জমি দখলের অপচেষ্টার অভিযোগ ভুক্তবোগীদের

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রৌমারী জোড় পূর্বক জমি দখলের অপচেষ্টা প্রতিকারের ঘুরে মিলছেনা প্রতিকার। রৌমারী উপজেলাধীন বন্দবেড় ইউনিয়নের বন্দবেড় গ্রামের মৃত্যু মাহফুজল হকের পুত্র ফজল উদ্দিন,আলী আকবর , সোলায়মান আলী, আলতাব হোসেন গং।

 

দলিল না থাকলেও ক্ষমতার দাপটে জনবল প্রয়োগ করে ভূলবশত রেকর্ড হওয়া অন্যের জমি জোড় পূর্বক ভোগ দখল করিবার অপচেষ্টা করছে ফজল উদ্দিন গং। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার মৌজা রৌমারী, জেএল নং ২১ সিএস খতিয়ান নং ৬২, জমির পরিমান ৬.৬৭ একর।

 

রেকর্ডেড প্রজা আরোজ সেখ ১৭ গন্ডা, ফাজিল সেখ ১৭ গন্ডা, তমেজ সেখ ৬ গন্ডা। অরোজ সেখের প্রাপ্ত জমির পরিমান ২.৮৫৫ একর। ফাজিল সেখ ২.৮৫৫ , তমেজ সেখ ০.৯৬ । অরোজ সেখ মৃত্যুবরণ করলে উক্ত সম্পত্তি অজিতুল্লা সেখ ও ঘুঘু সেখ প্রাপ্ত হন। পরে আজিতুল্লা সেখ মারা গেলে তাহার সম্পত্তি পুত্র সমেজ উদ্দিন, কন্যা আছিয়া কাতুন , আছমা খাতুন, ও সিদ্দিকা খাতুন প্রাপ্ত হন।

 

সিএস ৬২ নং খতিয়ানের জোতে ঘুঘু সেখের প্রাপ্ত জমির পরিমান ১.৪২৭৫ একর। ছমেজ উদ্দিনের ০.৫৭১০ , আছিয়া খাতুনের ০.২৮৫৫ , আছমা খাতুনের ০,২৮৫৫ ও ছিদ্দিকা খাতুনের ০.২৮৮৫ একর। উপরে উল্লেখিত ব্যাক্তিগণ আজিতুল্লা সেখের ওয়ারীশ। ২৫৪৮ দাগের ৩৯ শতাংশ জমি যাহা অরোজ উল্লা সেখের মৃত্যুর পর এক পুত্র ৩ কন্যা মালিক হন।

 

উল্লেখ্য যে, ৪০-৬২তে উক্ত দাগের জমি আরোজ সেখ ও ঘুঘু সেখের নামে রেকডের্ড হয়। পরবর্তিতে দেয়ারা রেকডে, সোহরাব গং ও ফজল উদ্দিন গং নানা কৌশল করে রেকড অন্তর ভূক্ত করেন। রৌমারী মৌজার জেএল নং ২১ খতিয়ান নং ১০৬ দাগ নং ২৫৪৮ এ ৩৯ শতাংশ জমি পৈত্রিক সুত্রে ছমেজ উদ্দিন গং প্রকৃত মালিক।

প্রকৃতপক্ষে ২৫৪৮ দাগে ফজল উদ্দিন গং এর কোন প্রকার দলিল পত্র নেই। কিন্ত ফজল উদ্দিন গং অবৈধ জনবল পেষী শক্তি ব্যাবহার করে বারবার আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করে ভোগ দখলের অপচেষ্টা করছে। সমেজ উদ্দিন গংএর ওয়ারিশগণ প্রতিপক্ষের হুমকি ও ভয়ভীতির ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছে।

Comments (০)
Add Comment