কুড়িগ্রামের রৌমারী টু ঢাকা রোডে কাদাঁ পানির উপর দিয়ে চলছে যাত্রিবাহী যানবাহন

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী টু ঢাকা রোডটি দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার কাজ বন্দ রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান। প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের  ২ টি প্যাকেজ এর কাজ পায়মের্সাস র‌্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কটি দুই উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের একমাত্র ভরসা। প্রায়ই ৪ মাস যাবৎ সংস্কার কাজ বন্ধ রাখায় মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন ও পথচারিরা যাতায়াতে প্রতিনিয়তে দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই।

মহাসড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখায় গর্তে পড়ে প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা। দূর্ঘটনার বিষয় নিয়ে একাধীকবার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হলেও কার্যকরি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। এদিকে রৌমারীর টালুয়ারচর হাফেজিয়া মাদ্রাসা হতে রাজিবপুর উপজেলার শেষ মাথা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার ও কার্পেটিংয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সড়কটি সংস্কার কাজের দরপত্রে কাজ পায় মের্সাস র‌্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড। গত ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সংস্কারের কাজ শুরু করে।

দরপত্র অনুযায়ী চলতি বছরের ৩০ জুন এর মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারের গাফলতিতে তা হয়নি। সড়কটি সংস্কারে ১ নম্বর ছিলকোট পাথর ১২ এমএম, ভাল প্রাইমকোট, কার্পেটিং থিকনেছ ৫০ এমএম এবং মাটির কাজ ৩ ফিট উভয় পাশে ও স্তোফে দুরমুজ করার কথা থাকলেও তা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়ম মাফিক কাজ না করে নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করারও অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল (ভার:) জানান, মহাসড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। ঠিকাদার কেন কাজ বন্ধ রেখেছে তা আমার জানা নেই, তার সাথে যোগাযোগেও করা সম্ভব হচ্ছে না। এনিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা সমন্বয় সভায় ডিসি স্যারকে অবগত করবো।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা (সওজ) প্রকৌশলী মো. নজারুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান ঠিকাদারকে বার বার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।