কুড়িগ্রামের রৌমারী নকলনবীশদের মানবেতর জীবন যাপনের কিছু কথা

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে বালাম বই না থাকায় নকলনবীশদের পরিবার কষ্টে জীবন যাপন করছেন। গত বুধবার সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিট অফিস সুত্রে জানা গেছে সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে ১৪ জন নকলনবীশ দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছে।

তারা বালাম বইয়ের মাধ্যমে দলিল সংরক্ষণ করেন। এতে দলিল প্রতি ক্রয়ের মালিকদের কাছ থেকে প্রতি পাতা ৪০ টাকা হারে নিলে আমাদেরকে দেয়া হয় ২৪ টাকা। বালাম বই লেখা শেষে মাসে ৫/৬ হাজার টাকা থাকলেও বাজারে উর্দ্ধগতি মূল্যে ডাল ভাত খেতে চাইলেও তা সম্ভব হয় না।

১২ মাসে ৩ মাস বালাম বই থাকে ও বাকি ৯ মাস বালাম বই অফিসে না থাকায় একদিকে তাদের কাজ না করে বসে থাকতে হয়। অপরদিকে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার দলিল বালাম বইয়ের অভাবে অফিসে ফাইল বন্দি করে রাখা হয়েছে। এতে নকলনবীশগণদের কাজ না থাকায় কষ্টে দিন যাপন করছেন।

নকলনবীশগণ জনগণের সম্পদ অবিনাশযোগ্য রেকর্ড সংরক্ষনের কাজে দায়িত্বে থাকা এমন কঠিন কাজের বিপরীতে তাদের মাসিক বা বিল বেতন না থাকায় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ২০১৬ এবং ২০২১ প্রশ্ন উত্তর পর্বে মাননীয় আইনমন্ত্রী নকলনবীশদের অতিশিঘ্রই রাজস্ব খাতে নেওয়া প্রতিশ্রুতি দিলেও অদ্যবধি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

নকলনবীশ এসোসিয়েশন সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস থেকে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বচ্চ রেমিটেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৩ সালের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘোষনা নকলনবীশদের চাকুরি জাতীয় করণ এবং ১৯৮৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ সমর্থন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সাব-রেজিষ্ট্রার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বালাম বই নেয়ার বিষয়ে উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নিকট পত্র দিয়েছি। তবে এ অফিসের কর্মচারীগণ বুদ্ধি খাটিয়ে বেশি করে বালাম বই এনে রেখে ছিলেন। যার কারনে অনেদিন এই বালাম বইয়ের মাধ্যমে সংরক্ষিত দলিল গুলি কাজ করা হয়েছে। তবে গত ডিসেম্বর মাস থেকে বালাম বই শেষ হয়েছে।