কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরে পানি সংকটে বিপাকে পাট চাষি কৃষকরা

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: রৌমারী-রাজিবপুরে ভরা বর্ষা মৌসুমে পানি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছে দুই উপজেলার পাট চাষি কৃষকরা। আবার দেখা গেছে পাট জাগে ফেলেও শুকিয়ে গেছে জাগের উপর থাকা পানি। অল্পপানিতে পাট পচাতে গিয়ে সোনালীর রং হয়ে গেছে কালো।

বৃষ্টি না হওয়া ও আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেলেও খাল-বিল, পুকুর, ডোবা, নালা, জলাশয় গুলোতে বর্ষার পানি না আসায় পচাতে পারছেনা পাট। পাটের বাম্পার ফলন হলেও পানির অভাবে জাগ দিতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক-কৃষাণীরা । সোনালী আঁশ পাট কেটে পানির আশায় ক্ষেতেই পাট রৌদ্রতাপে শুকিয়ে জমিতেই নষ্ট হতে দেখা যায়।

রৌমারী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বিরুপ আবহাওয়া মধ্যেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অধিক পাট চাষ হয়েছে। এবং আবহাওয়া অনুকুল বিরুপ হওয়ায় এবার অধিক পরিশ্রম ও সেচ দিয়ে পাট বাঁচাতে হয়েছিল তাদের। সবকিছুর পর এবার বাম্পার ফলন হয়েছে কিন্তু পানির অভাবে কৃষক পড়ছে চরম বিপাকে।

কেউ কেউ মহিষের গাড়িতে, কেউবা ভ্যান, নছিমন, ঠেলাগাড়ি যোগে কাঁচাপাট নিয়ে ছুটছে পানির খোঁজে। কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার রৌমারীতে ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দামও অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি কিন্ত সমস্যা একটাই পানির অভাব।

কোমরভাঙ্গী গ্রামের কৃষক তসলিম মাষ্টার, ধনারচর গ্রামের সুরুজ্জামান, বন্দবেড় গ্রামের ছাইফুৃল ইসলামসহ আরো অনেকেই জানান এবার পাট চাষ করেছি শেলো মিশিনে সের্চ দিয়ে। এখন আবার সের্চ দিয়ে পাট জাগে ফেলা হচ্ছে পচানোর জন্য। পাটের ফলন ভালো,দামও ভালো কিন্তু যেভাবে খরচ হচ্ছে দাম পেয়েও গুনতে হবে লছ। এমনটাই জানিয়ে রৌমারীও রাজিবপুরের পাট চাষি কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকতা সাহাদাত হোসেন বলেন, এই বছর প্রাকৃতিক খরার কারণে ভরা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পানির অভাবে কৃষকরা পাট জাগ দিতে পারছে না। তবে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে কৃষক যাতে পাট পঁচাতে পারে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সহ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Comments (০)
Add Comment