গোদাগাড়ী  দুইজনের  মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

গোদাগাড়ী (পৌর)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী ৯ নং চর আশারাধারা ইউনিয়নের হুন মন্তনগর গ্রামের কুপ( নদীতে) জিরো পয়েন্ট হইতে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ১। মোঃ কাওসার আলী(১৭), পিতা মোঃ শুকুদ্দিন, ২। মোঃ মোশারফ ওরফে মোশা(১৮), পিতা মোঃ আতিকুল ইসলাম, উভয় সাং- চরকানাপাড়া থানা-গোদাগাড়ী, জেলা- রাজশাহী তারা কৃষি কাজ সহ রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ১৯/১২/২৩ খ্রিঃ সকাল অনুমান ১২:৩০ মিনিট দিকে তারা ২ জনই ভারতে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল ।

আজ ২৩/১২/২৩ খ্রিঃ সকাল আনুমানিক ৮টার সময় চর হুন মন্তনগর গ্রামের কুপ( নদীতে) জিরো পয়েন্ট হইতে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে ১০০/১৫০ গজ ভিতরে জেলেরা তাদের ০২ জনের লাশ ভাসতে দেখতে পান। পরে তাদের আত্মীয় স্বজনকে খবর দিলে তাহারা নদী থেকে সেই লাশ উদ্ধার করিয়া তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। গোপন এবং প্রকাশ্যে অনুসন্ধান কালে এবং এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসা জানা যায় গত ১৯-১২-২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ তারা দুজনেই ভারতে রাজমিস্ত্রির কাজ করা কথা বলিয়া বাড়ি থেকে বের হয়।

বিকাল পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ খবর না পাইয়া তাদের অভিভাবকরা লোকমুখো জানতে পারেন তাহলে দুজনকে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক আটক করেছে। পরে তাহারা বাংলাদেশের চরকানাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পে অভিযোগ করিলে বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা পত্রালাপের মাধ্যমে বিএসএফ এর সহিত যোগাযোগের চেষ্টা করেন। দীর্ঘ সময় পরে বিএসএফ কর্তৃক তারা এই নামের কোন যুবক আটক করেন নাই বলিয়া জানান। ফলে তাদের আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজি করিতে থাকেন।

খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ২৩/১২/২৩খ্রিঃ সকাল অনুমান ৮টার সময় চর হনুমন্তনগর গ্রামের কুপ (নদীতে) তাদের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। হয়তো তাহারা দুজনের চোরাইভাবে সাঁতার কাটিয়া ভারতে যাওয়ার সময় কুপ(নদীর) পানিতে ডুবিয়া মৃত্যুবরণ করিয়াছে ধারণা করা যায় ।

গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বলেন ৯ নং চর আশারাদহ ইউনিয়নের হুন মন্তনগর গ্রামের কুপ( নদীতে) জিরো পয়েন্ট হইতে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে আমরা দুইটি পেয়েছি, লাশ উদ্ধার করে, বিধি মোতাবেক সূরা হাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গোদাগাড়ী মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

Comments (০)
Add Comment