গত শীত মৌসুমে মানুষজন অপ্রয়োজনে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করায় লোডশেডিং তেমন একটা ছিলো না। এখন গরম এসেছে। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে গরম অন্য বছরের তুলনায় বাড়ছে। কিন্তু লোডশেডিং কমছে না।
একদিকে গরম ও অন্যদিকে লোডশেডিং করায় অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ বিকল্প উপায় হিসেবে চার্জার ফ্যানের দিকে ঝুঁকছেন। এ সুযোগে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা এখন চার্জার ফ্যানের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের কারণে টিভি,ফ্রিজ, ফ্রানসহ ইলেকট্রক্সি মালামাল অকেজো হচ্ছে।
জানা যায়, দেশব্যাপী চলছে প্রচন্ড তাপদাহ। এর মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী রাজিবপুর উপজেলা জুড়ে ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা যাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে থাকা বৃদ্ধ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন গরমে। বিদ্যুৎ অফিস থেকে শিডিউল দেয়া হলেও তারাই মানছে না নিয়ম। পবিত্র রমজান মাসে ইফতার, তারাবিহ নামাজ কিংবা সেহরীর সময়ই থাকছেনা বিদ্যুৎ। এ গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যুৎ অফিসে এলাকাবাসী একাধিকবার ফোন দিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলেও কেউ রিসিভ না করায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। বিদ্যুতেরও অবস্থা তো আরও ভয়াবহ।
জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি রৌমারী জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) মেহেদী মাসুদ বলেন, রৌমারী উপজেলায় বিদ্যুত সাপ্লাই রয়েছে সাড়ে ৪ মেঘাওয়াট ও চাহিদা রয়েছে ১২ মেঘাওয়াট, রাজিবপুর উপজেলায় সাপ্লাই রয়েছে ৩ মেঘাওয়াট ও চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৮ মেঘাওয়াট বিদ্যুত। এ কারণেই কিছু লোডশেডিং হচ্ছে।