অংশগ্রহণকারীরা গ্রাহকের টাকা ফেরত না দিয়ে হয়রানীর শিকারের প্রতিবাদে মধুমতি গ্রুপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং অনেক কষ্টে অর্জিত আমানতের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।
অবস্থান কমসূচিতে অংশগ্রহণকারী তরিকুল ইসলাম জানান, তিনি অনেক কষ্ট করে দিনমজুরের কাজ করে ৪ লাখ টাকা আমানত রেখে সে টাকা পাচ্ছেন না। তিনি দ্রুত টাকা ফেরতের দাবী জানান। অপর মধুমতির অফিসার মমিন জানান, আমাদের কষ্টের টাকা মেরে দিয়ে অস্ত্র মামলায় জেলে অসুস্থতার ভান করে আরাম আয়েশে থাকা মাসুদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আরেক ভুক্তভোগী রুবেল হক মধুমতি সহ একের পর এক এনজিও মানুষের টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে থাকায় প্রশাসনকে এসব এনজিও গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।
শেষে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত; গত বছরের ১৭ নভেম্বর মধুমতি এনজিও পরিচালক মাসুদ রানা অস্ত্র সহ গোমস্তাপুরে গ্রেফতারের পর গ্রাহকদের আমানতের প্রায় কয়েক’শ কোটি টাকা উদ্ধার নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। এর কয়েক মাস আগে নিবন্ধনের শর্ত ভাঙ্গার অভিযোগে এ এনজিওটির সমবায় কার্যালয় থেকে পাওনা নিবন্ধন বাতিল করা হয়।