শহরের অভিজাত বিপণী থেকে শুরু করে রাস্তায় হকারদের কাছ থেকে শ্রেণিমতো সাধ্যানুযায়ী শীতবস্ত্র ক্রয় করতে ভিড় জমেছে। ভোরের আলোয় দেখা মেলে শীতের দৃশ্য। সন্ধ্যার পর থেকেই কনকনে শীত, শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হতে থাকে প্রকৃতি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিতান্তই মানুষগুলো ঘরমুখী হয়ে যায়।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ অফিসের পর্যেবক্ষক হক জানান, ‘রাজশাহী বিভাগ তথা উত্তরাঞ্চলের উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বেশ কয়েকদিন শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সকাল বেলা আলোর দেখা পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে তিনি জানান, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে যাবে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে।’ বুধবার জেলার সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃহস্পতিবার সকালে তা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রচন্ড ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাওয়ায় জনসাধারণের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বৃদ্ধ, নারী ও শিশুরা। শীতবস্ত্র ও খাবারের সংকটে হাজার হাজার দরিদ্র মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। জেলা জুড়ে এক সপ্তাহ শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন তারা।
২৫০ শয্যার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বলেন, ‘হাসপাতালে শয্যার তুলনায় শীতজনিত কারণে রোগীর সংখ্যা অত্যধিক। আর এ ধরনের অবস্থা শীত মওসুমে হয়ে থাকে। তবে এবার রোগীর সংখ্যা বেশি।’