ইইউ’র এ বিষয়ক কৌশল সংক্রান্ত একটি খসড়া নথি নিক্কেই’র হাতে পৌঁছেছে। ওই নথি অনুযায়ী লেখা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মহামারির কারণে শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খল দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে প্রযুক্তি বিনিময় শক্তিশালী করতে চাইছে ইউরোপের ২৭টি দেশের জোট ইইউ।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ইইউ তাদের নিজস্ব ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল নীতি প্রকাশ করে। একে বিশেষজ্ঞেরা একটি অভূতপূর্ব ঘোষণা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। কারণ, এখানে ইইউ ও চীনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রতিশ্রুতি ছিল।
নিক্কেই’র প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, নথিটিতে লেখা রয়েছে—‘এ অঞ্চলের স্বৈরাচারী শাসনের কারণে গণতান্ত্রিক নীতিমালা এবং মানবাধিকার হুমকির মুখে রয়েছে। পাশাপাশি এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, অন্যায় বাণিজ্য পদ্ধতি এবং অর্থনৈতিক জবরদস্তির ফলে স্বচ্ছ বাণিজ্য নীতির আওতায় একটি বৈশ্বিক মানের সমতা চর্চার ক্ষেত্র তৈরির কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়বে। এই চুক্তিগুলোর সুবাদে তথ্য পরিচালনা, তথ্যের বিশ্বস্ত প্রবাহ, তথ্যভিত্তিক উদ্ভাবন এবং ই-কমার্স বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আলোচনার পরিপূরক হবে।’