জঙ্গিবাদ একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের সৃষ্টি-প্রধানমন্ত্রী

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জঙ্গিবাদ বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র। এটা একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের সৃষ্টি। গোঁড়ায় গেলে দেখা যাবে, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তির উত্তরাধিকাররাই এতে জড়িত।” এরাও পরাজিত হবে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার বিকালে শোকের মাস আগস্টের শুরুতে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের মাটিতে কোনো জঙ্গির স্থান হবে না। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর যেনো কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেটাই হবে আজকের দিনে প্রতিজ্ঞা।”
এজন্য জনগণের আরও সচেতন হওয়া উচিৎ, তাদের আরও সহযোগিতা দরকার,’ বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান কেবল হত্যার ষড়যন্ত্রই করেনি, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরে মৃত মানুষের চরিত্র হননেরও চেষ্টা করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে যে বাড়িতে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, রাস্তায় বসে মিলাদ পড়তে হয়েছে- সেই বাড়ি আমাকে হস্তান্তর করার জন্য তারা ব্যস্ত হয়ে যায়।”
“আইনজীবীর মাধ্যমে বাড়ি বুঝে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তখন বুঝতে পারিনি তাদের তাড়া কেন!”
“বাড়ি হস্তান্তর করার পরে ৪০ দিন ধরে টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে ওই বাড়িতে হীরা, মুক্তা, টাকা পাওয়া গেছে। আর জিয়া একটি ভাঙা স্যুটকেস আর ছেঁড়া জামা রেখে গেছে। ১শ’ টাকার নোট বঙ্গবন্ধু বন্ধ করেছিলেন। সেই নোট ট্রাংক ভরে এনে দেখিয়েছিলো এসব পাওয়া গেছে ওই বাড়িতে।”
কিন্তু বাংলার মানুষ এসব বিশ্বাস করেনি। কারণ দেশকে কে কতটুকু দিয়েছে তা মানুষ জানে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “কৃত্রিমভাবে চরিত্র তৈরি করে সত্য চাপা দেওয়া যায় না। আমাদের বিজয়ের ইতিহাস কয়েক প্রজন্ম জানতেই পারেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে ৭ মার্চের ভাষণ তারা শুনতে পেয়েছে।”
“সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে। এখন মানুষ অনেক সতর্ক। তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিচ্ছে। চাইলেই আর মানুষকে বিভ্রান্ত করার সযোগ নেই।”
বাংলার মানুষের মন থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র আর সফল হবে না বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য মানুষকে উন্নত জীবন দেওয়া। আমি শুনেছি, বাবা কীভাবে দেশের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলেন। আমি চেষ্টা করছি সেভাবে কাজ করতে।”ব্রেকিংনিউজ

Comments (০)
Add Comment