শুক্রবার বিকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যারা গায়ের জোরে নোংরাভাবে জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলতে চাইছেন একইভাবে তারাও একদিন মুছে যেতে পারেন। তাছাড়া দেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগের যে রাজনীতি চলছে তা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বরং ২০০৩ সালে মুক্তিযুদ্ধের অবদান বিবেচনায় খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই মরহুম শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
ফখরুল বলেন, জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিভাজন ও একদলীয় বাকশালের রাজনীতিতে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।
দেশ চরম সঙ্কটে উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, হতাশা ও দুর্ভাগ্যের সঙ্গে বলতে হচ্ছে দেশে বর্তমানে দুই ধরণের সঙ্কট বিদ্যমান। একটি হচ্ছে গণতন্ত্রহীনতা আরেকটি হচ্ছে জঙ্গিবাদ। কাজেই এই মূহুর্তে ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান করবো ভয়াবহতার পথ পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন, মানুষের অধিকারগুলো ফিরিয়ে দেন। অন্যথায় জাতি কোনো দিনই আপনাদের ক্ষমা করবে না। একদিন এর জন্য জবাব দিতেই হবে।
পদক বাতিলের বিষয়ে বিএনপির কাছে সুনিদিষ্ট কোনো তথ্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে মোটামুটি জেনেছি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ব্রেকিংনিউজ