টানা চার ঘণ্টা জেরার মুখে শ্রাবন্তী

বেজির গলায় শিকল পরিয়ে ছবি তোলার জন্য অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সমন গিয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি। ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলের পক্ষ থেকেই এই সমন ধরানো হয়েছিল তাকে।

তবে এই সময় কাশ্মীরে ছিল তার শুটিং শিডিউল। তাই কিছুটা সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। সোমবার (৭ মার্চ) ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোলের দফতরে হাজিরা দেন তিনি। সেখানে প্রায় ৪ ঘণ্টা তার জিজ্ঞাসাবাদ চলে। আজ মঙ্গলবার তাকে ফের ডেকে পাঠানো হয়েছে সেখানে।

১৫ জানুয়ারি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেজির সাথে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন শ্রাবন্তী। যেখানে তার হাতে দেখা গিয়েছিল গলায় শিকল বাঁধা ওই ছোট্ট বেজিটিকে। ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘আচমকা ছোট্ট বন্ধুটির সঙ্গে দেখা হলো।’

যখন ছবিটি পোস্ট করেছিলেন শ্রাবন্তী, তখনই তা নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। কমেন্ট সেকশনে অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন, ছোট্ট প্রাণীটির ওপর অত্যাচার করছেন অভিনেত্রী। বিষয়টি নজর এড়ায়নি বন্য প্রাণী সুরক্ষা দপ্তরের।

এদিকে, সোমবার ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল সেলের অফিসে যাওয়ার আগে তিনি আচমকাই চলে যান অরণ্য ভবনে। যা জানার পর কপালে ভাঁজ পড়েছে অনেকেরই। কেন নিজের জেরার আগে তিনি গিয়ে বন্যপ্রাণ দফতরের উচ্চপদস্থ কর্তাদের সাথে দেখা করলেন, তা নিয়ে প্রশ্নও উঠছে।

বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২-এর ৯,১১, ৩৯, ৪৮, ৪৯, ৪৯এ- ধারায় শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিনেত্রীর ৭ বছরের জেল পর্যন্ত হতে পারে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারুইপুরে একটি শুটিং প্রোমোশনের সময় বন্যপ্রাণী হাতে নিয়ে ওই ছবিটি তুলেছিলেন অভিনেত্রী। তাই পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বনদপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এই ব্যপারে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বন্যপ্রাণীকে এভাবে বন্দী করে রাখা শুধু যে অপরাধ তা নয়, শ্রাবন্তীর মতো একজন তারকা যদি এমন কাজ করেন, তাহলে সমাজের অনেকেই প্রভাবিত হতে পারে তা দেখে।’