টি-টোয়েন্টি যাত্রায় টাইগারদের ‘বেদনার কাব্য’

খেলাধুলা ডেস্ক : বাংলাদেশ কী ভালো খেলে? ওয়ানডে, টেস্ট নাকি টি-টোয়েন্টি? উত্তর পেতে গবেষণার দরকার নেই। চোখ বুঝে বলে দেয়া যায় ওয়ানডে। বাকি দুই ধরনের ক্রিকেটে যারপরনাই বাজে অবস্থা।

টেস্টে সর্বশেষ ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেই দুর্নাম কিছুটা হলেও কেটেছে। টি-টোয়েন্টিতে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠলেও পরিসংখ্যানে শুধু ‘বেদনার কাব্য।’ কিউইদের বিপক্ষে চারটির সবকটিতে হার। মোট জয়ের অনুপাতে শতকরা হিসাবে কেবল জিম্বাবুয়ে পেছনে!

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে বেশি শক্তিশালী। নিজেদের দেশে খেলা ৩০টি ম্যাচের মধ্যে ১৯টিতে জয় তাদের। শেষ তিন বছরে টি-টোয়েন্টিতে সাফল্য আরো দুর্দান্ত। এই সময়ে তারা ঘরের মাঠে মাত্র একটি ম্যাচ হেরেছে।

এমন একটি দলের সঙ্গে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়ে আসার পর বাংলাদেশ কতটুকু ভালো করতে পারবে, তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বাংলাদেশ আবার কখনো তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একবার চার ম্যাচের সিরিজ খেলার অভিজ্ঞতাই সম্বল।

আগামীকাল নেপিয়ারে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে মাশরাফিরা। বাংলাদেশ সময় দুপুর বারোটায়। পরের ম্যাচ দুটি ৬ ও ৮ জানুয়ারি।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কিউইদের সর্বশেষ দেখা হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ৭৫ রানে হারতে হয় মাশরাফিদের। মোস্তাফিজ ৫ উইকেট নিয়েও সেদিন ম্যাচ জেতাতে ব্যর্থ হন।

বেদনার এখানেই শেষ নয়। টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মাঠে একবার দেখা হয় টাইগারদের। সেটা ২০১০ সালের কথা। হ্যামিল্টনের ওই ম্যাচে ১০ উইকেটের বিশাল হারে নতজানু হয় সাকিব-মুশফিকরা। সেদিন বাংলাদেশকে ৭৮ রানে প্যাকেট করেছিল নিউজিল্যান্ড।

এ তো গেল পরিসংখ্যানের কথা। বাংলাদেশ দলের বর্তমান হালচালও শঙ্কা জাগাচ্ছে। কোচকে ঘিরে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ খুব একটা ভালো নয়। মিডল অর্ডারের ভরসা মুশফিক ইনজুরিতে। রিয়াদ ফর্মে নেই। বোলারদের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়।

‘মরার আগে মরে না এই বাংলাদেশ’, মাশরাফির সেই কথা স্মরণ করে সাহসের ডালি সাজাতে পারেন তার অনুজরা। ডালি থেকে ফুলের গন্ধ আসুক। জয়ের সুবাস নিয়ে!

লেটেস্টবিডিনিউজ

Comments (০)
Add Comment