মন্ত্রী আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের লাহারপুরে তাঁতী, রিলার ও বসনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরি করার জন্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ অপরিহার্য। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে উন্নত প্রযুুক্তি আনতে হবে। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সুতার উপরে প্রায় ৬০ শতাংশ কর আরোপ করার পরেও আমরা বিদেশের সাথে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠছি না। সুতরাং আমাদের কোথাও না কোথাও ঘাটতি রয়েছে। আমাদেরকে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।যাতে আমরা বিদেশের চেয়ে ভালো মানের সুতা উৎপাদন করতে পারি।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, রাজশাহী মানে রাজশাহীর সিল্ক। এটাকে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা আমরা নেব। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাঁতী, রিলার ও বসনীদের দুঃখ-দুর্দশা দেখতে এখানে এসেছি। রাষ্ট্রের সব মানুষকে দেখা সরকারের দায়িত্ব। রেশম শিল্পকে আধুনিকায়ন ও লাভজনক করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সরকার বদ্ধপরিকর।
করা হয়। সমাবেশে পেশকৃত দাবি-দাওয়া পূরণে আশ্বাস প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুল ওদুদ, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম,
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. অলিউল্লাহ, জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মু. আব্দুল হাকিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। পরে বেলা সাড়ে ১২ টায় মন্ত্রী চাঁপাইনবাবগঞ্জের হরিনগরে রেশম বস্ত্র বিক্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।