স্থানীয়রা জানান, প্রধান স্কুলের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই নানা অজুহাতে স্কুল থেকে চলে যায়। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন, স্কুলের মাঠ পরিস্কার ও ঝাড়ু দিয়ে নেয়া হয় বলেও অভিভাবকদের অভিযোগ। অভিভাবক মজিদ, নুরুল ও নজরুল বলেন, এই প্রধান শিক্ষককে অপসারণ করা না হলে তারা তাদের সন্তানদের ওই স্কুলে আর পড়াবেন না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২৭ নভেম্বর রোববার সকালে প্রধান মতিউর রহমান প্রতিদিনের মতো স্কুল ফাঁকি দিয়ে যাবার সময় মাদারীপুর বাজারে অভিভাবকগণ তাকে আটকিয়ে সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ইউপি সদস্যকে অবহিত করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি শামসুদ্দিন মন্ডল বলেন, প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে স্কুল ফাঁকি দিয়ে আসছেন। তিনি সভাপতির কোনো কথা কর্নপাত করেন না। এমনকি স্কুলের উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ এলে জোরপুর্বক ফাঁকা চেক স্বাক্ষর করে নেয়
। এবিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য ও ইউপি মেম্বার লুৎফর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম-দূর্নীতির কারণে অভিভাবক মহল ক্ষুব্ধ রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাঝে মাঝে শিক্ষা অফিসে তাকে ডাকা বিভিন্ন কাজের জন্য। এছাড়াও অনেক সময় এটিও স্যারকে বিভিন্ন স্কুল ভিজিটে নিয়ে যেতে হয়। এটা না বুঝেই তারা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঙ্খাপন করেছে।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, তাদের লিখিত অভিযোগ দিতেবলা হয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।